কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছিতে চাঁন্দেরপাড়ায় ২৯ একর জায়গাতে নির্মিত হচ্ছে ‘ঝিনুক আকৃতির’ আইকনিক রেলস্টেশন।
১ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭ বর্গফুটের ৬তলা এই স্টেশন ভবনটি তৈরির বিপরীতে খরচ হচ্ছে ২১৫ কোটি টাকা। বলা হচ্ছে এটি এশিয়ার বৃহৎ রেলস্টেশন।
এখানে থাকছে তারকা মানের হোটেল, শপিংমল, কনভেনশন সেন্টার, রেস্টুরেন্ট, শিশু যত্ন কেন্দ্র, লাগেজ রাখার লকারসহ অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা। ঢাকা থেকে রাতের ট্রেন ধরে সকালে কক্সবাজার নেমে পর্যটকেরা লাগেজ, মালামাল স্টেশনে রেখে সারাদিন সমুদ্রসৈকত বা দর্শনীয় স্থান ঘুরে রাতের ট্রেনে পুনরায় ফিরতে পারবেন নিজ গন্তব্যে।
পুরোদমেই চলছে রেললাইনের নির্মাণ কাজ। ইতোমধ্যে কক্সবাজার সদর, রামু, ঈদগাঁও, পেকুয়া ও চকরিয়া অংশে প্রায় ২৮ কিলোমিটার রেলট্রেক বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। ছোটবড় সেতু, কালভার্ট, লেভেল ক্রসিং ও হাইওয়ে ক্রসিংয়ের কাজও চলছে।
সবমিলিয়ে এই রেলপ্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। আগামী ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে রেল আসছে কক্সবাজারে। তখন পাল্টে যাবে দৃশ্যপট। প্রসার ঘটবে কক্সবাজারের পযটন শিল্পসহ অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রেল এখন বাস্তব, দৃশ্যমান।