কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড নীলফামারী গ্রামীণ জনপদের । দফায় দফায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে উড়ে গেছে ঘরের চালা।গাছ ভেঙ্গে পড়েছে সহস্রাধিক ঘরবাড়িতে । উপরে পড়েছে শতাধিক শতবর্ষী পুরনো বিভিন্ন গাছ । সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়ন ।
বুধবার ১৮ ই মে রাতে দফায় দফায় কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বসতবাড়ি মুরগির ফার্ম ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার আঘাতে ক্ষেতের ধান শুয়ে পড়েছে মাটিতে । বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি উপরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে শহর জুড়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ ।
নিলফামারীর ইটাখোলা ইউনিয়ন এর সিংদই হাতীবান্ধা এলাকার রশিদুল ইসলাম জানান ,কালবৈশাখীর ঝড়ে তার নতুন পাকা ঘরের টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে পাশবতী জমির মাঝে ফেলে রেখেছে , একই এলাকার হামিদ পোল্ট্রি এর ম্যানেজার মশিউর রহমান জানান আমার এই পলিটি সম্পূর্ণটাই বিধ্বস্ত হয়েছে , খামারে পালন করা বয়লার মুরগি সবগুলোই মারা গেছে আমার প্রায় দু লক্ষ টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে । এছাড়া চওড়া বড়গাছা, গোলগ্রাম, রামনগর, কুন্দপুকুর ও পৌরসভার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে কালবৈশাখী ঝড় । এই ঝড়ের কারণে বিভিন্নভাবে একশোর অধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন ।
ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেদায়েত আলী শাহ ফকির জানান আমার ইউনিয়নে প্রায় তিনশোর কাছাকাছি ঘর বাড়ি ভেঙে গেছে আবার কিছু বিধ্বস্ত হয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে সেই পরিবার গুলো খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে । এসব লোকদের সহযোগিতার জরুরি হয়ে পড়েছে এই মুহূর্তে ।
নীলফামারী সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার জেসমিন নাহার দৈনিক আজকালের প্রতিনিধি কে জানিয়েছেন সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের কাছে কালবৈশাখী ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির যে তথ্য এ পর্যন্ত যা পেয়েছি তা পাঁচ শতাধিক । বিষয়টি আমরা জেলা প্রশাসক স্যার কে জানিয়েছি সেখান থেকে কোনো বরাদ্দ আসলে আমরা তাদের জন্য অবশ্যই ব্যবস্থা করব ।