রুপম চাকমা বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি
বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক এবং আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরীকে বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য দলীয় কার্যক্রম হতে আজীবনের জন্য বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। এই লক্ষে মঙ্গলবার দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরী সভার আয়োজন করা হয়েছে সভায় আওয়ামিলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা আওয়ামিলীগ বরাবরে রেজুলেশন করে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। বিষয়টি প্রেস ব্রিফিং করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলী হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন মামুন ।
বুধবার (১নভেম্বর) বিকাল ৫ ঘটিকায় বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে নিশ্চিত করেন। এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলী হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুন লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তুলে ধরেন।
প্রেস ব্রিফিং এ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুন বলেন, বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক রাসেল চৌধুরী, আমতলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন ও আমতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হোসেন এর বিরুদ্ধে আমতলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের অভিযোগ ও বিভিন্ন অপকর্ম এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ সহ নানান অভিযোগের ভিত্তিতে তাদেকে সংগঠন হতে স্থায়ী বহিস্কারের লক্ষে গত ১৩ অক্টোবর রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাথে এক মতবিনিময় সভা করে বাঘাইছড়ি উপজেলা ও আমতলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দেড়শতাধীক নেতাকর্মী।
রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি ও সাধারণ মুছা মাতব্বর সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অভিযোগ আমলে নিয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন। তারই ধারাবাহিকতায় বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীহ সহ উপজেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে গতকাল ৩১ অক্টোবর এক জরুরী সভা করে বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ, সভায় সকলের সম্মতিক্রমে রাসেল চৌধুরী, বিল্লাল হোসেন ও পারভেজ কে স্থায়ী বহিস্কারের জন্য জেলা আওয়ামীলীগ বরাবর সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
রাসেল চৌধুরীর বিষয়ে কি কি অভিযোগ প্রশ্নের উত্তরে গিয়াস উদ্দিন মামুন বলেন, রাসেল চৌধুরী সংগঠনের পদ পদবী ব্যবহার করে দলীয় অনেক নেতাকর্মীকে মামলা হামলা হয়রানী ও চাদাবাজী করেছে এমন অনেক অভিযোগ আছে। দলের সিনিয়র নেতাকর্মী বিশেষ করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুন ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী সহ অনেকের সিল- সই এবং দলীয় প্যাড নকল করে ব্যবহার করেছে। তিনি আরো বলেন আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে যেকোন পর্যায়ের নেতাকে বহিস্কার করার এখতিয়ার রাখে সিনিয়র কমিটি।
উল্লেখ্য যে এর আগেও ২০১৭ সালে আমতলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদ হতে সামহিক অব্যাহতি দেয়া হয় রাসেল চৌধুরীকে। উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলী হোসেন বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে নির্বাচন করে জামানত বাজেয়াপ্ত হয় রাসেল চৌধুরীর।
আমতলী ইউনিয়নে তার অপকর্মের কারনে আমতলী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের ভোট নষ্ট হয়েছে। তিনি আরো বলেন আগামীকাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্তের কপি জেলা আওয়ামীলীগ বরাবর প্রেরণ করা হবে আশা করছি জেলা আওয়ামীলীগ দ্রুত ভালো একটি সিদ্ধান্ত নিবে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামিলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অভিযুক্ত রাশেল চৌধুরীর কাছে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন কতিপয় নামধারী আওয়ামিলীগ নেতা ও কাঠ পাচারকারী চক্র সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে মিথ্যা অভিযোগ করেছে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে জেলা আওয়ামিলীগ যেই সিদ্ধান্ত নিবে সেটি আমি মাথা পেতে নিবো।
এছাড়া জেলার সিনিয়র নেতাদের সাথে কথা বলে বিস্তারিত তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করবো।