অবাধে বিষ প্রয়োগ করে ফটিকছড়ির অংশে ফেনী নদীর মাছ শিকার, জানেনা মৎস কর্মকর্তা

চট্টগ্রাম ফটিকছড়ির সর্ব উত্তরের উপজেলা ১নং বাগানবাজার ইউনিয়নে ভারত-বাংলাদেশ এর সীমান্তবর্তী ফেনী নদীতে দুবৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করে অবাধে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ শিকার করায় প্রাকৃতিকভাবে মাছের বংশবিস্তার বাঁধাগ্রস্তসহ জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে।
গত শনিবার (৪নভেম্বর) দিবাগত রাতে দুবৃত্তদের বিষ প্রয়োগে রামগড় ফটিকছড়ি সীমান্তের সোনাইপুল থেকে ফটিকছড়ি বাগানবাজার এলাকার অন্তত ২০ কিলোমিটার জুড়ে বিভিন্ন প্রজারিতর দেশী মাছ ভেসে উঠেছে।
ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত হওয়াতে বিষ প্রয়োগ বন্ধে তেমন কোন উদ্যোগও নেই প্রশাসনের এমনকি ফটিকছড়ি উপজেলা মৎস কর্মকর্তা এ বিষয়ে এখনো জানেনই না।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে কিছু অসাধুচক্র নদীতে বিষ ঢেলে মাছ শিকার করে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। বিষ প্রয়োগে চিংড়ি শিকার করায় ছোট মাছগুলো মারা যায়। এছাড়া প্রাকৃতিকভাবে তৈরি মাছের খাবার নষ্ট এবং মাছের বংশ বিস্তার বাধাগ্রস্তসহ হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য। শীত মৌসুমে নদীর পানি কমার সঙ্গে শিকারিরা বিষ প্রয়োগে চিংড়িসহ হরেক প্রজাতির মাছ আহরণ করে।
বাগানবাজারের বাসীন্দা ও ব্যবসায়ী ডাক্তার জয়নাল বলেন, এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ (বিষ) যা পানিতে প্রয়োগ করলে মাছ আধামরা বা মরে গিয়ে গভীর পানি থেকে ভেসে উঠে আসে। নদীর পানিতে ভেসে ওঠা এ সব মাছের বেশির ভাগই দেশীয় প্রজাতির। এ বিষ গুলো নদীর উপরে সোনাইকুল এবং অন্যান্য জায়গায় দেয়, তবে কারা দেয় তা জানা যায়না। গত শনিবার দিবাগত রাতেও বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। রবিবারে অসংখ্য মানুষ এসব মাছ ধরেছে।
বিষক্রিয়ায় মরা মাছগুলো হাতজাল, ঠেলাজাল, চালুনি কিংবা মশারি দিয়ে ধরা হয়। হটাৎ করে সন্ধ্যাবেলা কিংবা ভোরের দিকে নদীর কোনো না-কোনো অংশে বিষ প্রয়োগে দেশীয় মাছ নিধনের ঘটনা ঘটছে।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন- ফেনী নদীটা আমরা ভেবেছি ফেনীতে। ফটিকছড়ি অংশের ফেনী নদীর ব্যাপারে আমার জানা নেই। বিষ প্রয়োগে ফেনী নদীতে মাছ নিধনের ব্যাপারে এর আগে আমাকে কেউ জানাইনি, আমি জানিওনা।
Please follow and like us:

     এই বিভাগের আরো খবর

আমাদের পেজ লাইক করুন

error: Content is protected !!