অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে অপহৃত নাবালিকা কিশোরীকে হাটহাজারী থেকে উদ্ধার ও মূল অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম

অপহৃত ভিকটিম ১৬ বছর বয়সের কিশোরী এবং রাঙ্গুনিয়ার একটি স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্রী। ভিকটিমের প্রতিবেশী মোঃ রাকিব তাকে প্রায় সময়ই স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করত। বিষয়টি ভিকটিম তার পিতাকে জানালে ভিকটিমের পিতা বিষয়টি রাকিব এর বাবা-মা ও তার নিকটাত্মীয়দের অবগত করেন। এতে রাকিব ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিম এর পিতাকে হুমকি দেয় যে, সে যেকোন সময় তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাবে।

পরবর্তীতে গত ১৬ মে ২০২৩ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ০৯৩০ ঘটিকায় ভিকটিম এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে বাড়ী হয়ে রাঙ্গুনিয়া সরকারী কলেজ গেইট এর সামনে পৌঁছলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামী রাকিব এবং তার ৪/৫ জন সহযোগী ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে একটি সিএনজি যোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম পরীক্ষা শেষে সময়মত বাসায় না ফেরায় ভিকটিমের বাবা আত্মীয় স্বজনদের বাসাসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রী দায়ের করেন যার জিডি নং-৬৫২, তারিখঃ ১৭ মে ২০২৩ খ্রিঃ।

ভিকটিমের বাবা তার মেয়েকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিষয়টি মানবিকতার সাথে গ্রহণ করতঃ অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্ত অব্যহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ মে ২০২৩ইং রাত ২১৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন কোয়াইশ এলাকা হতে বর্ণিত অপহরণ চক্রের মূলহোতা আসামী মোঃ রাকিব(২২), পিতা-খোরশেদ আলম, সাং-চন্দ্রঘোনা থানা-রাঙ্গুনিয়া, জেলা-চট্টগ্রামকে গ্রেফতার এবং অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে স¦ীকার করে সে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকা ভিকটিমকে অপহরণ করেছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Please follow and like us:

     এই বিভাগের আরো খবর

আমাদের পেজ লাইক করুন

error: Content is protected !!