লালমনিরহাট পটলের বাম্পার ফলন, ভালো দাম পাওয়ায় কৃষক খুশি

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে ভুমি সহকারী কর্মকর্তা বিরুদ্ধে অতিরিক্ত উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আব্দুল হামিদের এর বিরুদ্ধে ।

মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ বলেন ভূমি উন্নয়নের কর প্রদানের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত উৎকোচের বিনিময়ে খাজনার রশিদ কেটে দেওয়া হচ্ছে। ভূমি সহকারী কর্মকর্তার নিজের পকেট ভারী করতে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে।

সেই সাথে সঠিক সময়ে অফিসে না আসায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারন জনগনের। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ভূমি অফিসে যোগদানের পর থেকে বেপরোয়া হয়ে ওঠে আব্দুল হামিদ । তিনি দুর্গাপুর ইউনিয়নে ভূমি অফিসে কোন দিন সঠিক সময়ে অফিসে আসতে পারেনি । যদিও অফিসে আসেন সাথে থাকে ব্যাক্তিগত বডিগার্ড ও গাড়ি চালক ।এলাকার সর্ব সাধারন জনগন ভূমি উন্নয়ন কর দিতে আসলে ওই ব্যক্তির সাথে প্রথমে চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী ভূমি উন্নয়নের কর মওকুফ করে অতিরিক্ত উৎকোচ গ্রহন করে থাকে । প্রত্যেক রশিদ হতে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে ।

এদিকে প্রত্যেক নামজারি (খারিজ) থেকে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত গ্রহণ করেন আব্দূল হামিদ । সরকারি দপ্তরের সঠিক কোনো তদারকি না থাকায় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল হামিদের সাথে আদিতমারী উপজেলার দলিল লেখক সমিতির একাধিক দলিল লেখকদের যোগসাজশে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ক্রেতা-বিক্রেতাকে নির্দিষ্ট দলিল লেখকদের দিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করাতে বাধ্য করানো হয় । দিনের বেশিরভাগ সময়ে নিজ অফিসে না এসে আদিতমারী উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দালালি কাজে ব্যস্ত থাকে দিনের বেশিরভাগ সময় । আদিতমারী উপজেলার মধ্যে একমাত্র দুর্গাপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দলিল লেখকদের সাথে কন্ট্রাকের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়নের কর প্রদানের রশিদ ও দলিল সম্পাদন করে থাকেন।

বিষয়টি নিয়ে দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান নান্নুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন এলাকার সাধারণ লোকজন অভিযোগ করেন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোট অংকের অর্থের বিনিময়ে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান রশিদ দিয়ে থাকে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন অতিরিক্ত উৎকোচের বিষয়টি সরকারের বিভিন্ন দপ্তর কে অবহিত করা হয়েছে। আরো বলেন সঠিক সময়ে অফিসে না আসায় সাধারণ লোকজনের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে ।

স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি দুর্নীতিবাজ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে অপসারণ দাবি জানান । অভিযোগের বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি ।

Please follow and like us:

     এই বিভাগের আরো খবর

আমাদের পেজ লাইক করুন

error: Content is protected !!