ঠাকুরগাঁওয়ে রাণীশংকৈলের ছাত্রলীগ নেতা, তামিম হোসেন শখের বশে পাখি পালন শুরু করে, এখন রীতিমতো পাখির খামার মালিক তিনি।রাণীশংকৈল উপজেলার পৌর শহরের বাসিন্দা তামিম হোসেন। ছোট বেলা থেকেই পাখি পোষার শখ ছিল।
পরবর্তীতে তিনি ঢাকায় অনার্সে পড়ার সময় কাঁটাবনে একটি পাখির খামার থেকে পাখি ক্রয় করে বাসার ছাদে মাত্র দুই জোড়া পাখি দিয়ে শখের বশে পাখির পালন শুরু করেন। সঠিক পরিচর্যা ও আগ্রহে ধীরে ধীরে খামারে বাড়তে থাকে পাখির সংখ্যা।
বর্তমানে খামারে রয়েছে ৩০ জোড়া দেশি-বিদেশি প্রজাতির পাখি।তিনি রাণীশংকৈল উপজেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতির পাশাপাশি পাখির খামার দেখভাল করে আসছেন ।
বাজরিগার, ককাটিয়েল, গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ, টেইল ফিঞ্চ, বিদেশী সিরাজী কবুতর-সহ দেশি প্রজাতির টিয়া পাখিও রয়েছে খামারে। কাউন, ভাত, খিচুড়ি, ডিম,কুসুম দানা, সবজি এসব পাখিদের খাবার হিসেবে দেওয়া হয়।প্রতিমাসে অন্তত ৩০০০ হাজার টাকা খরচ হয়।
ব্যতিক্রমধর্মী এমন কাজে কেন উদ্বুদ্ধ হলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগ নেতা বলেন সৃষ্টির সেবাই শ্রষ্টার ইবাদত। ছোট বেলা থেকেই শখ ও আত্মতৃপ্তির জন্যই তিনি পাখি পালন করেন, পাখি পালন তাঁর খুব ভাল লাগে।
পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ শুনলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়।জীববৈচিত্র রক্ষায় তাঁর পরিকল্পনা সুদূরপ্রসারী জানিয়ে তিনি আরো বলেন, পরিবেশ, প্রকৃতি, জলবায়ুর ভারসাম্য ঠিক রাখতে হলে প্রকৃতির প্রাণ জীববৈচিত্র পাখি-বন্যপ্রাণি এদেরকে টিকিয়ে রাখতে হবে।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এদের ভুমিকা অনস্বীকার্য। প্রকৃতি বাঁচলে মানুষও বাঁচবে।দেশের প্রতিটি এলাকায় প্রকৃতি প্রেমী এমন তামীম হোসেন তৈরি হোক এমন প্রত্যাশা রাণীশংকৈল বাসির।