কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত। টেলিভিশন দুনিয়ার অতি পরিচিত এই অভিনেত্রী বেশ কিছু সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। বর্তমানে একের পর এক ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও দারুন জনপ্রিয় তিনি। তবে বহুদিন পর এ অভিনেত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেল সাহসী অবতারে। সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম হয়ে উঠেছে স্বস্তিকার হট ছবি পোস্ট করা নিয়ে। ছবিতে স্বস্তিকাকে দেখা গেছে, ছেঁড়া জিন্সের শার্টে। শার্টের প্রায় বেশিরভাগ বোতাম খোলা। ফলে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে অন্তর্বাস। এমনকি স্পষ্ট বক্ষ বিভাজিকা।
স্বস্তিকার এমন সাহসী ছবি পছন্দ হয়নি নেটিজেনদের একাংশের, তারা স্বস্তিকাকে শাড়ি-সালোয়ারে দেখতেই স্বচ্ছন্দ। ক্লিভেজ দেখিয়ে সস্তার প্রচার পেতে চাইছেন নায়িকা, এমনই কটাক্ষ ধেয়ে এসেছে তাঁর দিকে। একজন লিখেছেন , ‘এমনিই তো যথেষ্ট সুন্দর। এসব ছবি না দিলেও হয়।’ কেউ লিখেছেন, ‘ভদ্র পোশাক নেই? কোথায় কী পোশাক পরতে হয় সেই জ্ঞানটুকুও বোধহয় স্বস্তিকা হারিয়ছেন!’
সেলিব্রিটিদের নিয়ে ট্রোল করা নতুন কোনো বিষয় নয়। যত দিন যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংখ্যা যেন বেড়েই যাচ্ছে। তাই মুখ বুজে এইসব বিদ্রুপ হজম করেননি স্বস্তিকা। বরং এসব কটাক্ষের কড়া জবাব দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আমি খুব বড় কোনো অপরাধ করে ফেলেছি ছবিটা ফেসবুকে আপলোড করে। এসব ছবি বলতে আপনি ঠিক কী বোঝাতে চাইলেন সেটা আমার কাছে স্পষ্ট হল না। চোখ, কান, নাক, মুখ, হাত, পা-এর মতো ক্লিভেজটাও মানুষের শরীরের একটা অংশ। সুন্দর একটা ছবি তোলা হয়েছে, আমি সেটা শেয়ার করেছি। পছন্দ না হয়, দেখবেন না।’
অপর একজন ট্রোলারের জন্য স্বস্তিকার জবাব, ‘কোথায় বিকিনি বা সাঁতারের পোশাক পরতে হয় আর কোথায় ঢাকাই জামদানি, এটা বুঝি বলেই টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের ধারাবাহিকতা বজায় করে একজন সফল অভিনেত্রী হিসেবে নিজের অভিনয়ের ক্ষমতা দিয়ে কাজ করে চলেছি।’
কিন্তু এতেও থেমে নেই ট্রোলাররা। অভিনেত্রী নাকি ‘বাংলার সেরা মুখ’-এর সম্মান পেয়েছেন! তবু বক্ষভাঁজ দেখিয়ে সৌন্দর্য প্রমাণ করতে হচ্ছে।’ এমন অনেক কুরুচিকর মন্তব্য স্বস্তিকার পোস্টে। এই নিয়ে স্বস্তিকার পাল্টা প্রশ্ন, ‘একজন অভিনেত্রী পর্দায় অন্য চরিত্র হয়ে উঠতে নানারকম পোশাক পরেন, সেটা ব্যক্তিগত জীবনে না-ও সে পরতে পারে। তার মানেই আমরা খারাপ?’
নেটিজেনদের একাংশ কটাক্ষ করলেও নায়িকার এই সুপারহট ছবিতে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন অনুরাগী, সহকর্মী-বন্ধুরা।