পলাশবাড়ীতে নিম্নমানের ইটের সলিং

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে দুর্যোগ ব‍্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রামীন মাটির রাস্তা টেকসই করণে হেরিং বোন বন্ড এইচবিবিকরণ কাজে প্রথমে নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ শুরু করতে গিয়ে এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করে দেয়। এসময় নিচের ইট নিয়ম ছাড়া ফাঁক করে বসানো হয়। বালুতে সামান্য পানি দিয়ে, রোলার দিয়ে না দাবিয়ে কোনরকমে গোজামিল কাজ করা হয়েছে।

এলাকাবাসির অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, উপজেলার কিশোরগাড়ী ও বরিশাল ইউনিয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের আসমতপুর বক্করের চাতাল কাশিয়াবাড়ী হেরিং বোন এর মাথা হতে ইউসুফ হাজীর বাড়ী পযর্ন্ত ৫০০ মিটার এবং বরিশাল ইউনিয়নের ময়মন্তপুর ডাকুনী সোনাপাড়া পাকার মাথা হতে বরিশাল সম্ভুর বাড়ী পযর্ন্ত ৫০০ মিটার মোট ১ কিমি রাস্তা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের তত্ত্বাবধানে ৫৮ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা ব্যয়ে এইচবিবিকরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় মেসার্স লিমন ট্রেডার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজটি চলমান রয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল ) আসমতপুর বক্করের চাতাল কাশিয়াবাড়ী হেরিং বোন এর মাথা হতে ইউসুফ হাজীর বাড়ী পযর্ন্ত ৫০০ মিটার ইটের সলিং-এ দেখাযায়, প্রথমে ট্রলি দিয়ে রাস্তায় বালু ফেলা হয়েছে।সে বালুতে সামান্য ছিটেফোঁটা পানি দিয়ে, তা রোলার না করেই নিচে ফাঁক ফাঁক করে বিভিন্ন ক্লাশের ইট বিছানো হয়েছে। এরপর বালু দিয়ে আবার উপর অংশে ইট বিছানো হচ্ছে। এসব ইট এখনই আপডাউন এবং ঘটঘটে নড়াচড়া করছে। এসব দেখে এলাকাবাসী গত ৩ এপ্রিল কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। ঠিকাদার নিম্নমানের ইট সরিয়ে নিয়ে ভালো করে কাজ করার আশ্বাসে পুনরায় কাজ শুরু করলেও ঐ একইভাবে রাস্তাটির কাজ করা হচ্ছে। রাস্তাটিতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।এবিষয়ে ঠিকাদারের দায়িত্বরত সহকারী জানান,কাজ সিডিউল মোতাবেক করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বে মোঃ রেজাউল করিম জানান, আমি একা দুটি উপজেলা দেখাশোনা করি। আমার একার পক্ষে সম্ভব নয় এতকাজ দেখাশুনা করার। তবে কাজ ঠিকঠাক ভাবেই চলছে। কোন অনিয়ম করেনি ঠিকাদার।

Please follow and like us:

     এই বিভাগের আরো খবর

আমাদের পেজ লাইক করুন

error: Content is protected !!