সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ১৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর (ডিএইউ) সংখ্যা কমেছে।

ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা নেটওয়ার্কস বিবিসি নিউজকে জানিয়েছে, ২০২১ সালের শেষ তিন মাসে দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১৯২ কোটি ৯০ লাখ। যা এর আগের তিন মাসে এই ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৯৩ কোটি ছিল। যদিও ফার্মটি টিকটক এবং ইউটিউবের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে প্রতিযোগিতার মুখে রাজস্ব বৃদ্ধিতে ধীর গতির বিষয়ে সতর্ক করেছিল, যখন বিজ্ঞাপনদাতারাও ব্যয় কমিয়ে দিচ্ছে।

নিউইয়র্কে আফটার আওয়ার ট্রেডিংয়ে মেটার শেয়ার ২০ শতাংশের বেশি কমে গেছে। মেটার শেয়ারের দামের স্লাইড কোম্পানির স্টক মার্কেট ভ্যালু থেকে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার মুছে দিয়েছে। এদিকে টুইটার, স্ন্যাপ এবং পিন্টারেস্টসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের শেয়ারগুলিও বর্ধিত ট্রেডিংয়ে তীব্রভাবে হ্রাস পেয়েছে।

ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, শ্রোতারা, বিশেষ করে তরুণ ব্যবহারকারীরা প্রতিদ্বন্দ্বীদের কারণে চলে যাওয়ায় ফার্মের বিক্রয় বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেটা, যা গুগলের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ডিজিটাল বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মের মালিক, এটিও বলেছে যে, এটি অ্যাপলের অপারেটিং সিস্টেমে গোপনীয়তার পরিবর্তনের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।

মেটার প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ডেভ ওয়েহনারের মতে, পরিবর্তনগুলি ব্র্যান্ডগুলির জন্য ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে তাদের বিজ্ঞাপনগুলিকে নির্ধারণ করা এবং পরিমাপ করা কঠিন করে তুলেছে এবং এই বছরের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার কমাতে প্রভাব ফেলতে পারে। মেটার মোট রাজস্ব, যার সিংহভাগ বিজ্ঞাপন বিক্রয় থেকে আসে, এই সময়ের মধ্যে ৩৩.৬৭ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে, যা বাজারের পূর্বাভাসটাকে খুব বেশি অস্পষ্ট করে তোলে।

১৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কমলো ফেসবুক ব্যবহারকারী

আবারও তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডারের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। প্রতি কেজি এলপিজি ৯৮ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০৩ টাকা ৩৪ পয়সা করেছে। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির প্রতিটি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৪০ টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় দাম বাড়ানোর এ ঘোষণা দেয় বিইআরসি, পরে সন্ধ্যা ৬টা থেকেই এ দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিইআরসির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এলপিজি গ্যাসে কেজিপ্রতি ৮ টাকা বেড়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য এলপিজি মূসকসহ কেজিপ্রতি ৯৪ দশমিক ৯৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৩ টাকা ৩১ পয়সা করা হয়েছে। ফলে জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে গ্রাহককে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজিতে ৬২ টাকা বেশি দিতে হবে।

একইসঙ্গে বেড়েছে পরিবহনে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের দামও, যা অটোগ্যাস নামে প্রচলিত। ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৫৭ টাকা ৮১ পয়সা করা হয়েছে, যা জানুয়ারি মাসে ছিল ৫৪ টাকা ৯৪ পয়সা। লিটারে বেড়েছে প্রায় ২ টাকা ৮৭ পয়সা।

এদিকে এর আগে গত বছর টানা পাঁচ দফা এলপিজির দাম বাড়ে। এতে সবশেষ ৪ নভেম্বর ১২ কেজি ওজনের একটি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম মূসকসহ এক হাজার ৩১৩ টাকা নির্ধারণ করে বিইআরসি, যা ছিল গত বছরের সর্বোচ্চ দাম। পরে ৩ ডিসেম্বর দাম কমিয়ে এক হাজার ২২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। টানা দাম বাড়ার কারণে গেল বছর আলোচনায় ছিল এলপিজি। এবছর জানুয়ারি মাসে ৫০ টাকা কমিয়ে এলপিজির দাম ১ হাজার ১৭৮ টাকা নির্ধারণ করলেও আবার ৬২ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে।

আবারো দাম বাড়লো এলপিজি সিলিন্ডার ও অটোগ্যাস

ফের বাড়তে শুরু করেছে নির্মাণ সামগ্রীর অন্যতম প্রধান উপকরণ রডের দাম।

বাজারে প্রতি টন রডের দাম ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বেড়েছে। এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএমএ) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি (বিএসিআই) গতকাল বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বৈঠকে বসে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয় নির্মাণ খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে তিন মাস পর পর বৈঠকে বসবে অবকাঠামো নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ও কাঁচামাল উৎপাদকরা। রডের সামগ্রিক উৎপাদনে ৫২ শতাংশ খরচ বাড়ায় বিক্রয়মূল্য বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। তাই বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির তুলনায় বিক্রয়মূল্য না বাড়ায় লোকসান দিয়ে রড বিক্রি করতে হচ্ছে বলে দাবি করেন তারা।

এ খাতের উদ্যোক্তারা জানান, ২০২১ সালের স্টিল তৈরির প্রধান কাঁচামাল স্ক্র্যাপ ও রাসায়নিক ও কনটেইনারের ভাড়া বেড়েছে। এর প্রভাবে রডের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বাড়ায় দেশে উৎপাদিত রডের দাম যৌক্তিকভাবে বেড়েছে।

সভায় স্টিল উৎপাদকরা বলেন, নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো রড আমদানি করার অনুমতি পেলে, দেশীয় শিল্প ক্ষতির মুখে পড়বে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হারানোর শঙ্কা তৈরি হবে। এ অবস্থায় দেশীয় উৎপাদকদের জন্য স্ক্র্যাপ ও স্পঞ্জ আয়রন আমদানিতে বিদ্যমান সকল শুল্ক-কর হ্রাস করার দাবি জানায় বিএসএমএ।

ফের বাড়লো রডের দাম

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) ২০৩০ সালের পর আর পরিচালনা করবে না নাসা। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে কেটি হান্ট লিখেছেন, ২০০০ সালে সার্ভিসে আসা এই মহাকাশ স্টেশনটিকে প্রশান্ত মহাসাগরের একটি প্রত্যন্ত অংশে বিধ্বস্ত করা হবে যা নিমো পয়েন্ট নামে পরিচিত। জুলভার্নের ‘টুয়েন্টি থাউজেন্ড লিগস আন্ডার দ্য সি’ উপন্যাসের সাবমেরিনের নাবিক নিমোর নামানুসারে এই পয়েন্টটির নাম রাখা হয়েছে। সমুদ্রের এই অংশটি ভূমি থেকে সবচেয়ে দূরে এবং অন্যান্য অনেক মহাকাশযানের এখানে সলিল সমাধি হয়েছে। এলাকাটি নিউজিল্যান্ডের পূর্ব উপকূল থেকে প্রায় ৩০০০ মাইল দূরে এবং অ্যান্টার্কটিকার ২০০০ মাইল উত্তরে। অনুমান করা হয় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপান এবং ইউরোপের অনেক দেশ ১৯৭১ সাল থেকে এখানে ২৬৩টিরও বেশি মহাকাশযান ডুবিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) পৃথিবীর ২২৭ নটিক্যাল মাইল উপরে প্রদক্ষিণ করছে এবং বিশ্বের ১৯টি দেশের ২০০ জনেরও অধিক মহাকাশচারী এখন পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেছে। এর মাধ্যমেই মহাকাশে মানুষের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত হচ্ছে।

মহাকাশে চাষবাস

মহাকাশে উৎপাদিত লেটুস পাতা, ছবি: সংগৃহীত

মহাকাশে উৎপাদিত লেটুস পাতা, ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটি অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণার আবাসস্থল। এখানেই মহাকাশচারীরা শিখেছেন কীভাবে মহাকাশে লেটুস এবং শাক-সবজি উৎপাদন করতে হয়। তারা মহাকাশ স্টেশনে মূলা এবং মরিচ উৎপাদনও বাড়াচ্ছেন৷ তবে এই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকে ঘিরেও চলে রাজনীতি। বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাবশালী দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনকে অনেক বছর আগেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সেজন্য চীন নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তৈরি করেছে। আইএসএসের মতো বড় না হলেও, চীনা মহাকাশ স্টেশনটি এই বছরের শেষ নাগাদ সম্পূর্ণরূপে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে রাশিয়া বলেছে যে, তারা ২০২৫ সালেই আইএসএস প্রকল্প ছেড়ে যাবে এবং ২০৩০ সালে নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা করছে।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ভেঙে প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলবে নাসা

আমাদের পেজ লাইক করুন

error: Content is protected !!