শাহরিয়ার কবির আকন্দ- পলাশবাড়ীতে পেঁয়াজের পর একই জমিতে পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল বেগুন উৎপাদন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সফল চাষী মগগুল-দিলারা দম্পতি। তাদের দেখাদেখি সাবানা বেগম,শোভারানী ও আরজু বেগম জৈব কৃষি ও জৈবিক বালাই দমন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বেগুন চাষ করে লাভবান হয়েছেন।
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের পূর্ব গোপালপুর গ্রামে গিয়ে তাদের বেগুনের ক্ষেত দেখতে পাওয়া যায়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম (এনএটিপি-২) প্রকল্পের মাধ্যমে দুইশ শতাংশ জমিতে গত বছরের নভেম্বর মাসের ২৯ তারিখে পার্পন কিং জাতের বেগুনের চারা রোপন করেন তারা।
সফল বেগুন চাষী মগগুল-দিলারা বেগম দম্পতি বলেন , ‘আমরা সবজি চাষী। শীত মৌসুমে বিভিন্ন সবজি চাষ করি । আমরা উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে দুইশ শতাংশ জমিতে বেগুন চাষ করেছি। আশা করা যায় ভালো ফলন পাব এবং বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে । কৃষক মৃত নয়া মিয়ার ছেলে মগগুল হোসেন ও দিলারা বেগম আরো বলেন , ‘আমাদের বেগুন বিক্রি করতে বাজারে যেতে হয় না। পাইকারেরা ক্ষেত থেকে এসে নিয়ে যান।’
একই গ্রামের কৃষানী শাবানা আক্তার বলেন , ‘আমি এ বছর ২০ শতাংশ জমিতে জৈব কৃষি জৈবিক বালাই দমন ব্যবস্থাপনা র মাধ্যমে চাষ করেছি। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে এ বেগুন চাষ করি। বেগুন গাছে ফলন অধিক হয়েছে ; বাজারজাত শুরু করেছি।
একই গ্রামের কৃষানী শোভারানী বলেন , ‘এ বেগুন আকারে বড় ও বাজারে চাহিদা ব্যাপক। তাই আমি এ বছর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সিআইজি মহিলা (ফসল) সমবায় সমিতির মাধ্যমে বেগুনের চারা রোপণ করেছি । গাছের চারার মান ভালো। আশা করছি ফলন ভালো হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারঃ সাইফুন্নাহার সাথী বলেন , ‘ পলাশবাড়ী উপজেলায় ১শ ২২ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ হয়েছে। বিষমুক্ত সবজি চাষে আগ্রহী করে তুলতে হরিনাথপুর ইউনিয়নে ৩ টি ও মহদীপুর ইউনিয়নের পূর্ব গোপালপুর গ্রামে ৩ টি প্রাথমিকভাবে ৬ টি প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে বেগুনের আশানুরুপ ফলন পাওয়া যাবে। আমাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রকার রোগ দমনে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। আস্তে আস্তে গোটা উপজেলাজুড়ে পরিবেশ বান্ধব বিষমুক্ত সবজি চাষের আওতায় সকল কৃষকদের আনা হবে বলে কৃষি কর্মকর্তা বলেন।