নোয়াখালী থেকে ঢাকার কমলাপুরে চলাচলের উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে খাবার গাড়িতে নিয়োজিত থাকা হকার কর্মীরা ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আরএনবি সদস্যরা যোগসাজশে প্রতিনিয়ত আদম পারাপার করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
একইভাবে চট্টগ্রাম ময়মনসিংহ চলাচলের বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন, চট্টগ্রাম-ঢাকা চলাচলের চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেন, চট্টগ্রাম-ঢাকা চলাচলের মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন, এই গাড়িগুলোতে প্রতিনিয়ত প্রকারভেদে এরূপ কাজ করে যাচ্ছেন ক্যান্টিন হকার আরএনবি এবং জিআরপি পুলিশের সদস্যরা।
জানা যায়,পর্যাপ্ত টিকেট কাউন্টারে না থাকায় যাত্রীদের কাছ থেকে টিকিটের দ্বিগুণ ভাড়া নিয়ে গন্তব্য স্থানে পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন এবং পৌঁছে দিচ্ছেন।
সাধারণ যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায় কাউন্টার থেকে টিকিট ক্রয় করতে না পেরে গাড়িতে নিয়োজিত থাকা সদস্যদের সাথে কথা বললে টিকিটের টাকা তাদেরকে দিতে বলেন বিনিময়ে তারা যাত্রীদের তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিবেন বলে টাকা নেন।
সরেজমিন অনুসন্ধানে গেলে দেখা যায় খাবার গাড়িতে নিয়োজিত থাকা ক্যান্টিন হকাররা জনপ্রতি, ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী করে নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে গাড়িতে করে রওনা হন, আরো জানা যায় গ্রাম্য মানুষদের কাছ থেকে মোবাইল কোর্ট, ব্লক চেক এর ভয় দেখিয়ে টিকিটের দ্বিগুণ টাকা দাবি করেন একপর্যায়ে যাত্রীরা তাদের কথামতো তাদেরকে সেই টাকা দিয়ে গাড়িতে ভ্রমণ করেন।
ট্রাভেলিং টিকেট এক্সামিনার,দায়িত্বে থাকা টিটিই”রা ও রয়েছেন তাদের সাথে আর এভাবেই তারা সর্ব স্থান ম্যানেজ করে প্রতিনিয়ত শতশত যাত্রীদের কাছ থেকে টিকিটের টাকা উত্তোলন করে নিজেরাই আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রী পরিবহন গুলো।
সাধারণ যাত্রীরা তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সকল রেলওয়ে স্টেশনে শতভাগ টিকেট প্রদান করা হলে আমরা যাত্রীরা নির্বিঘ্নে টিকেট ক্রয় করে গাড়িতে ভ্রমণ করতে সক্ষম হলে টিকিটের অর্থ রেলওয়ে রাজস্ব তে জমা হবে আর আমাদেরও দুর্ভোগ কমবে আমরা আইনানুগভাবে টিকেট ক্রয় করে গাড়িতে ভ্রমণ করতে পারব আমরা বাংলাদেশ রেলওয়ে মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে অনুরোধ জানাচ্ছি প্রতিটা কাউন্টারের শতভাগ টিকেট নিশ্চিত করণে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য।