-
- জাতীয়, সারাদেশ
- প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ ঠাকুরগাঁওয়ের জনজীবন
- আপডেটের সময় : মে, ১২, ২০২৩, ৬:৪৬ অপরাহ্ণ
- 112 বার ভিউ
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে কয়েকদিনের প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। মাঠে কাজ করা মানুষগুলো গরমে হাসফাঁস করছেন। একটু পর পর ছায়ায় পানি পান করছেন। গরমের কারণে একটু স্বস্থির জন্য শিশু-কিশোরদের পুকুরে গোসল করতে ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের ছাতা নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। রোদে ঘর থেকে তেমন কেউ বের না হওয়ায় ব্যস্ততম সড়কগুলো ফাঁকা হয়ে পড়ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার তথ্যমতে, ঠাকুরগাঁওয়ে বুধবার (১০ মে) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও মঙ্গলবার (৯ মে) সর্বোচ্চ ৩৫.৯ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ২৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ে। সে তুলনায় ঠাকুরগাঁওয়ে সচরাচর ১-২ ডিগ্রি তাপমাত্রা সব সময় বেশি থাকে।
রাসেল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, বিগত কয়েক বছরেও আমাদের এদিকে এত তাপদাহ হয়নি। কিন্তু এবার গত কয়েক দিন থেকে প্রচণ্ড রোদ। বুধবার (১০ মে) তাপমাত্রা বেশিই মনে হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর তৃষ্ণা লাগে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা কৃষকদের সব সময় পরামর্শ দিচ্ছি, তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে নিয়মিত সেচ দেওয়ার জন্য। যদি সেচ ব্যবস্থা কৃষকরা ঠিক রাখে তাহলে বেশি তাপমাত্রাতেও সবজি গাছ মরে যাওয়া রোধ করা সম্ভব।
ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. রকিবুল আলম চয়ন বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিরিক্ত গরমের ফলে ডিহাইড্রেশন রোগ, যেটাকে পানি শূন্যতা বলে। এছাড়াও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে ডিহাইড্রেশন রোধে আমাদের বেশি বেশি তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে।
এর সঙ্গে পানিতে স্বল্প পরিমাণ লবণে মিশিয়ে খেলে শরীরে লবণের স্বল্পতাও পূরণ হবে বলে জানান তিনি। জরুরি কাজ না থাকলে দুপুরের ঘর থেকে শিশু ও বৃদ্ধদের বের না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, বঙ্গপসাগরে লঘুচাপ ঘনীভূত হওয়ায় আবহাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের দিকে এগুচ্ছে। লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হতে আরো দুই একদিন সময় লাগবে। নিম্নচাপে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলে যে তাপমাত্রা বিরাজ করছে তা অব্যাহত থাকবে।
নিম্নচাপ হওয়ার পরবর্তী সময় আস্তে আস্তে তাপমাত্রা কমতে থাকবে ও বৃষ্টিপাত হতে পারে।
Please follow and like us:
এই বিভাগের আরো খবর