ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী রাশেদা বেগম’কে দীর্ঘ ১৯ বছর পর চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
আসামী রাশেদা বেগম চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক ও অনৈতিক কাজে জড়িত ছিল।
সে বিভিন্ন এলাকা হতে উঠতি বয়সী মেয়েদের চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে এসে পাঁচলাইশ থানাধীন তার একটি ভাড়া বাসায় ভিকটিদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক যৌন কাজে বাধ্য করত।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালে জনৈক ভিকটিককে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে যৌন কাজে বাধ্য করে। পরবর্তীতে ভিকটিম সুযোগ পেয়ে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তার পরিবার পুলিশের সহায়তায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার বাদী হয়ে আসামী রাশেদা বেগমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-২২(০৯)০৪, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/০৩) এর ৯(১)/৩০।
মামলা দায়েরের পর হতে আসামী রাশেদা বেগম আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে এলাকা আত্মগোপনে চলে যায়। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আসামীর অনুপস্থিতিতে তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ৫০,০০০/-টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ০২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরধারী এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরধারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত আসামী আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন শান্তিনগর এলাকায় আত্মগোপন করে আছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ২২ মে ২০২৩ তারিখে আসামী রাশেদা বেগম (৪৫), স্বামী-মোঃ জামান, সাং-মধ্যম খিরাম, থানা-ফটিকছড়ি, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আকটকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাকত আসামী মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, সে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য দীর্ঘ ১৯ বছর যাবৎ চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্ত পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।