দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এবং এসএমএসি এডভাইজরী সার্ভিসেস লিঃ’র যৌথ উদ্যোগে ব্যক্তিগত আয়কর প্রদান সংক্রান্ত এক কর্মশালা ৭ নভেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়।
দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ’র সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-৩ এর কর কমিশনার ড. ইখতিয়ারুদ্দিন মোঃ মামুন এতে গেষ্ট অব অনার এবং সোনালী ব্যাংক পিএলসি ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার খন্দকার মাজহারুল কবির, এম এম রহমান এন্ড কোং’র সিনিয়র পার্টনার সিদ্ধার্থ বড়–য়া, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউটেন্টস বাংলাদেশ’র সহ-সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশন’র সভাপতি মোঃ নুর হোসেন অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত আয়কর প্রদান সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক তথ্যচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন এসএমএসি আইটি লিঃ’র পরিচালক স্নেহাশীষ বড়–য়া। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, মাহবুবুল হক মিয়া, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, সাবেক পরিচালকদ্বয় কামাল মোস্তাফা চৌধুরী ও আবছার হাসান চৌধুরী (জসীম)-সহ বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চিটাগাং চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন-জনগণের প্রদানকৃত অর্থই সরকারের উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে।
যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে দেশীয় অর্থায়নে তৈরী গৌরবময় পদ্মা সেতু। এছাড়াও সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কতর্ৃক বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করা হয়েছে যার মোট প্রকল্প বাস্তবায়নের অর্ধেক অর্থায়ন হয়েছে জনগণ বা সরকারের টাকায়। সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম প্রধান খাত হচ্ছে আয়কর। কিন্তু আয়কর প্রদান বিষয়ে অনেকেই সচেতন নয়। তিনি বলেন-বর্তমানে ট্যাক্স টু জিডিপি এর আনুপাতিক হার অনেক কম। এছাড়া একই শ্রেণির করদাতার উপর নির্ভর না করে ট্যাক্স নেট বৃদ্ধি করতে হবে।
দেশের মধ্যম আয়ের মানুষকে ট্যাক্স দিতে উৎসাহিত করতে হলে ট্যাক্সের হার সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। এছাড়াও সাধারণের নিকট কর প্রদানের ভীতি দূরকরণের লক্ষ্যে সকল ধরণের হয়রানি রোধ করতে হবে এবং রিটার্ন প্রদান সহজ করা গেলে ট্যাক্স নেট বৃৃদ্ধি পাবে।
চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-৩ এর কর কমিশনার ড. ইখতিয়ারুদ্দিন মোঃ মামুন বলেন-সরকারের নতুন আয়কর আইনে ৪০টির অধিক সেবা প্রাপ্তির জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে। আবার আইনে সরকারের সকল গণকর্মচারীদেরকে রিটার্ন দাখিলও বাধ্যতামূলক করেছে। নতুন আইনে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে কর অব্যাহতি ও কর রেয়াত সুবিধা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবেন করদাতারা।
তাই কর বিভাগে অটোমেশনের মাধ্যমে করদাতা ও কর কতর্ৃপক্ষের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক স্থাপনে কাজ করা হচ্ছে। এজন্য নভেম্বর মাসকে তথ্য ও সেবা মাস উল্লেখ করে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ব্যক্তি শ্রেণি করদাতা ও অংশীদারী ফার্মসমূহকে স্বেচ্ছায় ও স্বপ্রণোদিত হয়ে রিটার্ন দাখিলের আহবান জানান তিনি।
কর্মশালায় ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্ন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সফটওয়্যার ট্যাক্সডু এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত আয়কর, হিসাব নিকাশ ও রিটার্ন জমা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়। এর মাধ্যমে ঘরে বসেও যেকোন করদাতা আয়কর সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও সেবা পাবেন।