মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম সাংবাদিক উন্নয়ন পরিষদ দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নেন সৈয়দ মিজান উল্লাহ সমরকন্ধী। ১৪ অক্টোবর সারাদিন ব্যাপি উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন করে তারা। নির্বাচনে সভাপতি পদে ছিলেন লায়ন এম এ ইউসুফ , সৈয়দ মিজান উল্লাহ সমরকন্ধী এবং রেবেকা সুলতানা রেখা।
পরে নির্বাচনে ১৩ ভোটে পরাজিত হন মিজান উল্লাহ সমরকন্ধী। কিন্তু তিনি এই নির্বাচন মানতে নারাজ। পরে তিনি চট্টগ্রাম সাংবাদিক উন্নয়ন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত করে। তারপর বিভিন্ন মাধ্যমে নবনির্বাচিত কমিটির বদনাম ছাড়াচ্ছে তিনি।
এই বিষয়ে পাহাড়তলী থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করে সংগঠনের নেতারা।
১৪ নভেম্বর রাতে নগরীর বড়পুল বঙ্গুবন্ধু চত্বরে সংগঠনের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন ও স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি শফিকুল ইসলামকে ডেকে এনে মারধর করে সৈয়দ মিজান উল্লাহ সমরকন্ধী, রেখা চৌধুরী, এনায়েত, মুরাদ, সোহেল সহ আরও তার কুক্ষাত বাহিনী।
সৈয়দ মিজান উল্লাহ সমরকন্ধী বলেন আমি এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। সে আমাকে না বলে মিটিং করবে, বনভোজন করবে আমি সেটা মেনে নেব না।
সৈয়দ মিজান উল্লাহ সমরকন্ধী বলেন ” তোকে আমি চট্টগ্রাম ছাড়া করবো, তুই কিভাবে চট্টগ্রাম থাকস আমি দেখবো।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন বলেন ” আমি চট্টগ্রাম সাংবাদিক উন্নয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। আমি ১৪ তারিখ নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে ১ মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে বনভোজন এর আয়োজন করি। আমি এই আয়োজন ও ব্যানার করায় আমাকে তার সাথে থাকা মহিলা দিয়ে হেনস্তা করাই। পরে সৈয়দ মিজান উল্লাহ সমরকন্ধী আমাকে মারার জন্য এগিয়ে আসে। পরে একপর্যায়ে তার সাথে আমার কথা কাটাকাটি ধাক্কাধাক্কি হয়।
ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম বলেন আমাকে আমার প্রতিনিধি হেলাল উদ্দিন বড়পুলে ডাকে। আমরা কথা বলছি তখনই হেলাল উদ্দিনকে মারধর করার ভিডিও করায় সৈয়দ মিজান উল্লাহ সমরকন্ধী আমাকেও মারধর করে।
পরে এলাকাবাসীরা তাদেরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এ নিয়ে যায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান ২ রোগী অবস্থা গুরুতর। শফিকুল ইসলামের বুকে আঘাত করে এবং হেলাল উদ্দিন এর বুকের বাম পাশে শজরে আঘাত করা হয়েছে। এখন তারা মেডিকেলে চিকিৎসাদ্বীন অবস্থায় আছে।
পরে এই বিষয়ে হালিশহর থানায় একটি লেখিত অভিযোগ জানাই ভুক্তভোগী সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন।
হেলাল উদ্দিন দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন। ভুক্তভোগী সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন নগরীর বড়পোল এলাকার বাসিন্দা।