প্রেস রিলিজ:
টেলিগ্রামে ‘ভিআইপি সিক্রেট গ্রুপ’ খুলে ফাঁদে ফেলে চাঁদাবাজি ও লুণ্ঠন—সিএমপির ডবলমুরিং মডেল থানার অভিযানে গ্রেফতার ৫।
সিএমপির পশ্চিম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভুইয়ার সার্বিক দিক-নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) মোঃ মাসুদ রানা ও ডবলমুরিং জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জনাব সব্যসাচী মজুমদারের তত্ত্বাবধানে ডবলমুরিং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী রফিক আহাম্মদের নেতৃত্বে এসআই রবিউল হোসেন ও তার সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় বাসায় কৌশলে আটক রেখে চাঁদা দাবি করার কাজে লিপ্ত ভিআইপি সিক্রেট গ্রুপের (টেলিগ্রাম গ্রুপ) সক্রিয় ০৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো ০১। তানজিল আক্তার (২৭), ০২। নাবিলা আক্তার হ্যাপি (২০), ০৩। শামীমা আকতার (৩৬), ০৪। মোঃ সাদেক হোসেন বাপ্পি (২২), ০৫। আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু মেহেদী হাসান প্রান্ত (১৫)। প্রাথমিকভাবে জানা যায় গত ৬ নভেম্বর একজন চা-পাতা ব্যবসায়ীর সাথে ভিআইপি সিক্রেট গ্রুপের নাবিলা আক্তার হ্যাপির (২০) পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে বাদীকে গত ০৯/১২/২৪ খ্রি. রাত আনুমানিক ১০:০০টার সময় হ্যাপী ওই ব্যবসায়ীকে কৌশলে তার বাসায় নিয়ে যায়। তারপর অন্য আসামিরা বাদীকে আটক করে ১২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলবে মর্মে হুমকি দেয়। আসামিরা বাদীর নিকট থেকে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও নগদ ১৮ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে অবশিষ্ট টাকা এনে দিতে বলে ছেড়ে দেয়। এরপর গত ১০/১২/২৪ খ্রি. ১৫:৪৫ ঘটিকা হতে বিভিন্ন সময়ে আসামিদের মোবাইল নম্বর থেকে ভিক্টিম ব্যবসায়ীকে ফোন করে তাদের দাবিকৃত চাঁদা ১২ লক্ষ টাকা চাইলে বাদী পুলিশকে অবহিত করার পর অভিযান পরিচালনা করে ১১ নভেম্বর রাত ২:০০টায় পাঠানটুলী এলাকা থেকে এজাহারনামীয় সকল আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় ডবলমুরিং থানা পুলিশ আসামিদের হেফাজত থেকে নগদ ৭ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।