ফেনীর দাগনভূঞা থানার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর যুবদল নেতা বেলাল হত্যা মামলার প্রধান আসামী শামসুদ্দিন’কে চট্টগ্রাম মহানগরী হালিশহর এলাকায় হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম
নিহত ভিকটিম বেলাল হোসেন দাগনভূঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় ১নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে নিহত ভিকটিম ব্যক্তিগত কাজে তার নিজ বাড়ীর সামনে সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন এ সময় প্রতিবেশী খোরশেদের সঙ্গে পূর্ববিরোধ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরবর্তীতে খোরশেদ আলম, শামসুদ্দিন এবং অন্যান্য সহযোগীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লোহার রড, ক্রিকেট খেলার স্টাম্প, লোহার পাইপ দিয়ে পথরোধ করে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। এসময় ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে খোরশেদ আলম, শামসুদ্দিন এবং অন্যান্য সহযোগীরা ভিকটিমকে মৃত ভেবে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার এবং স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎিসার জন্য দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দাগনভূঞা পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে ভিকটিম মৃত্যুবরন করে।
উক্ত ঘটনায় নিহত ভিকটিমের মেয়ে বাদী হয়ে ফেনী জেলার দাগনভূঞা থানায় ৪ জনকে এজাহারনামীয় আসামী করে একটি মামলার দায়ের করেন। যার মামলা নং-০১, তারিখ ০১ মার্চ ২০২৫ইং, ধারা-৩০২/৩২৩/৩৪১/৩০৭/৩২৫/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম সূত্রে বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় অসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। গোয়েন্দা নজরদারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় আসামী শামসুদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানাধীন আব্বাসপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১২ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে আনুমানিক রাত ২৩০০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী শামসুদ্দিন (২২), পিতা- শাহ আলম, সাং-প্রতাপপুর, থানা- দাগনভূঞা, জেলা-ফেনী’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করত সূত্রে বর্নিত মামলার ০১নং এজাহারনামীয় পলাতক আসামী এবং স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত মর্মে স্বীকার করে। এছাড়াও সে মামলা রুজু হওয়ার পর হতে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়াতে নিজ এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে ফেনী জেলার দাগনভূঞা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।