ঢাকায় বিপিএলের প্রথম পর্বে নামা হয়নি কয়েকজন তারকা ক্রিকেটারের। স্থানীয়দের মধ্যে অন্যতম লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। চট্টগ্রাম পর্বেই দেখা যাবে তাদের। করোনা নেগেটিভ হয়ে খুলনা টাইগার্সে যোগ দিয়েছেন সৌম্য। কয়েকদিন বিশ্রামে কাটিয়ে মাঠে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের লিটন।
ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলতে আসা আফগানিস্তানের স্পিনার মুজিব-উর রহমান বৃহস্পতিবার দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। মিনিস্টার ঢাকার দুই আফগান ক্রিকেটার কায়েস আহমেদ ও ফজল হক ফারুকি এদিনই প্রথম অনুশীলন করেছেন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ঢাকা পর্বের প্রথম ধাপে বোলারদের আধিপত্য দেখা গেছে অধিকাংশ ম্যাচেই। ব্যাটারদের সংগ্রাম করতে হয়েছে রান পেতে। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় পর্বে দেখা যেতে পারে উল্টো ছবি। সব আগের মতো থাকলে বিপিএলের অষ্টম আসরেও বন্দরনগরীর স্টেডিয়ামে রানের উৎসব হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
খুলনার অধিনায়ক মুশফিক চোখের দেখাতেই বুঝে গেছেন কেমন উইকেট অপেক্ষা করছে এখানে, ‘চট্টগ্রাম অন্যতম হাইস্কোরিং গ্রাউন্ড। এটা তো শুধু গত বছর নয়, এখানে যতগুলো বিপিএলের ম্যাচ হয়েছে, সব সময় হাইস্কোরিং হয়েছে। যেহেতু দুটি ম্যাচের একটি হেরেছি, একটি জিতেছি, চেষ্টা করবো প্রথম ম্যাচে আমরা দ্রুত যেন কন্ডিশনের সাথে খাপ খাওয়াতে পারি।’
‘ঢাকা ও চট্টগ্রামের উইকেটের মধ্যে পার্থক্য আছে। আমরা যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারবো আমাদের জন্য ততোই ভালো হবে। আশা করছি উইকেট ভালো হবে। উইকেট ফ্রেশ। অবশ্যই ব্যাটিংবান্ধব উইকেট হবে। ’
বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড বন্দরনগরীর ভেন্যুটির। ২০১৯ সালে ষষ্ঠ আসরে রংপুর রাইডার্স ২৩৯ রান তুলেছিল চট্টগ্রাম ভাইকিংসের বিপক্ষে। পরের পাঁচটি সর্বোচ্চ ইনিংসও সাগরিকার মাঠটির দখলে।
চট্টগ্রামে দুইশ’র বেশি দলীয় সংগ্রহ ছয়বার হয়েছে এক আসরেই। এবারও তেমন কিছুর হাতছানি রয়েছে। হাত খুলে মারার সুযোগ পাবেন ব্যাটাররা। মেটাতে পারবেন টি-টুয়েন্টির চাহিদা।
তিন ম্যাচে দুই জয়ে সর্বোচ্চ চার পয়েন্ট মিরাজদের। ঘরের মাঠে শুক্রবার বিপিএলের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ খুলনা টাইগার্স।
চট্টগ্রাম দল ঢাকা পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলে মুশফিকের খুলনার বিপক্ষেই। ২৫ রানের জয়ে শেষ করে শুরুর অভিযান। চ্যালেঞ্জার্সের চট্টগ্রাম পর্বের শুরুটাও হচ্ছে খুলনার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। হোম ভেন্যুতে প্রতিদিন রয়েছে সাব্বির-মিরাজদের ম্যাচ। শুক্রবার রাতের ম্যাচে মুখোমুখি হবে মিনিস্টার ঢাকা ও সিলেট সানরাইজার্স।
ঢাকায় প্রথম পর্বে দুর্দান্ত খেলা চট্টগ্রাম হোম ভেন্যুতে স্থানীয়দের প্রত্যাশা মেটাতে চায়। দলটির অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বললেন, ‘এখানে আমাদের চারটা ম্যাচ, অবশ্যই হোম গ্রাউন্ডে চট্টগ্রামের মানুষের অনেক চাহিদা থাকবে। এটা আসলে আমাদের টিমের জন্য চাপ না বরং উৎসাহের। সবাই যদি ভালো ক্রিকেট খেলে এবং আমরা ম্যাচ জিততে পারি, স্থানীয়দের ভালো লাগবে যে নিজের হোম গ্রাউন্ডে আমরা ম্যাচ জিতেছি।’
ঢাকায় প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। দুই দিনের বিরতির পর শুক্রবার বিপিএলের লড়াই শুরু হবে বন্দরনগরীতে। সেখানে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হবে ম্যাচ। ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ফিরবে বিপিএল। সিলেটে আরেকটি পর্ব শেষে চূড়ান্ত পর্বও হবে ঢাকায়।