করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রনে মৃত্যুর হার কম হলেও অনেক বেশি সংক্রামক। এর ফলে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠার পরেও শারীরিক সমস্যাগুলো দীর্ঘমেয়াদী হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা যাকে ‘লং কোভিড’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
কোভিড পরবর্তী সময়েও বিভিন্ন শারীরিক উপসর্গ দেখা দিচ্ছে এবং সেগুলো থাকছেও অনেক দিন। কোভিড এবং এই লং কোভিডের উপসর্গগুলির মধ্যে সাদৃশ্যগত মিল থাকায় অনেকেই এই দুটিকে একসঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন, ফলে জটিলতা বাড়ছে।
লং কোভিড প্রতিরোধ করতে এবং নিজেকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখতে কিছু খাবারের উপর নির্ভর করা যেতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।খাবারগুলো হলো:
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার
বিভিন্ন ধরনের রঙিন শাকসবজি, ফলমূল যেমন- আপেল, কাঠবাদাম, আনারস, আঙুর, খেজুর, জলপাই, ব্রকোলি, ভুট্টা ইত্যাদি খাবারে রয়েছে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। কোভিড পরবর্তী সময়ে এই খাবারগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার
কমলা লেবু, আমলকি, পাকা পেঁপে, পেয়ারা, ব্রকোলি, বিভিন্ন টকজাতীয় ফল, শাক, আলু ইত্যাদি ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার বিভিন্ন ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।
ওমেগা-থ্রি যুক্ত খাবার
বিভিন্ন ধরনের মাছ, সয়াবিন, সবুজ শাকসবজি, বাদাম ইত্যাদি ওমেগা-থ্রি সমৃদ্ধ খাবার রক্তচাপ হ্রাস করে।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীর সুস্থ রাখে।
ভিটামিন-ডি যুক্ত খাবার
ডিমের কুসুম, দই, ওটস, মাশরুম, দুধ ইত্যাদি ভিটামিন-ডি জাতীয় খাবার কোভিড পরবর্তী সময়ে অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।
ভিটামিন-ডি হাড়ের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।