-
- সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ, সারাদেশ
- কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবিতে ফুসে উঠছে কুড়িগ্রামবাসী
- আপডেটের সময় : মে, ১৮, ২০২২, ৫:২৫ অপরাহ্ণ
- 132 বার ভিউ
দেশের স্বাধীনতার পর বিভিন্ন জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হলেও কুড়িগ্রাম ব্যতিক্রম। বিশেষ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা সেকালের রয়ে গেছে।
চিলমারীর রমনা স্টেশন থেকে রমনা মেইল থেকে একটি ট্রেন চলাচল করলেও করোনার সময় থেকে বন্ধ আছে। ফলে এ এলাকা জনগন অনেকটা বাস ও জেএস, থ্রি হুইলার অটো রিকশার উপর নির্ভরশীল।এলাকার লোকজন অধিকাংশ নিম্ন আয়ের ও কর্মজীবী। ফলে বেশি ভাড়ায় দূরে যেয়ে কাজ করাও তাদের জন্য কষ্টকর। সম্প্রতি একটি কমিউটার ট্রেন চালু করা হলেও তা সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটে রমনা থেকে ছেড়ে যায়। যা জনগনের যোগাযোগ চাহিদা মেটে না।রেল সুবিধে কুড়িগ্রাম বাসীকে দেবার জন্য কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা যাতায়াতের জন্য কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস চালু করা হলেও কুড়িগ্রামের জনগনের আকাঙ্খিত আসন বরাদ্দ দেয়া হয়নি।ফলে স্বল্প আসনে কুড়িগ্রামবাসীর যাতায়াতের দূুর্ভোগ বাড়িয়েছে। আসন বৃদ্ধির দাবিতে ফুঁসে ওঠছে কুড়িগ্রাম জেলাবাসী। কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস এর নির্ধারিত আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবিতে গত বৃহষ্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম নতুন রেলষ্টেশনে জেলাবাসীর উদ্যেগে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক আহম্মেদ হোসেন, ইউপি সদস্য আলমগীর কবির, প্রাণী চিকিৎসক আবুল কালাম আজাদ, কৃষকলীগ নেতা মমিনুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাফী,দূর্বার তারুণ্য বাংলাদেশ এর সভাপতি রেজওয়ানুল হক নুরনবী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,কুড়িগ্রামের জন্য কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস হলেও টিকিটের সংখ্যা মাত্র ১২১ টি। তার মধ্যে কাউন্টার থেকে বিক্রি হয় ৬২টি ও অনলাইনে বিক্রি হয় ৫৯টি। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।কুড়িগ্রাম জেলায় শ্রমজীবি মানুষের সংখ্যা বেশী। কাজের সন্ধানে শ্রমজীবি মানুষগুলো সারা দেশে যাতায়াত করে। কিন্তু কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের টিকিট সংখ্যা কম হওয়ায় জেলাবাসী ট্রেনে যাতায়াত করতে পারছে না। তাই এ অঞ্চলের মানুষের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার স্বার্থে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের টিকিটের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য জোর দাবী করেন এলাকার সচেতন জনগন।
Please follow and like us:
এই বিভাগের আরো খবর