টাঙ্গাইলের নাগরপুরের সেরা গরু “রাজা বাবু”

গরীবের ঘরে রাজা বাবু। রাজা বাবুকে ঘিরেই পরিবারের শত ব্যস্ততা। নামে নয় কাজেও রাজা। যেমন দেহ তেমন উচ্চতা ও শক্তিশালি। পাড়া প্রতিবেশি ও দূরদুরান্ত থেকে ছুটে আসছে এক নজর রাজাকে দেখতে। কিছু দিন পরেই কুরবানির ঈদ। আর ঈদকে টার্গেট করে সারাদেশের ন্যায় টাঙ্গাইলের নাগরপুরের খামারিরাও প্রস্তুত তাদের গরু নিয়ে।

এবার কুরবানির হাট কাঁপাতে আসছে নাগরপুরের ৫০০ কেজির ‘রাজা বাবু’। লাল কালো রংয়ের সুঠাম স্বাস্থ্যের অধিকারী ষাঁড়টিকে আদর করে নাম দেয়া হয়েছে রাজা বাবু। রাজা বাবু খুবই শান্তশিষ্ট লানা জাতের একটি ষাঁড়। গরুটি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের কাশাদহ উত্তরপাড়ার মৃত হায়াদ আলীর ছেলে মো. শফিকুল ইসলামের ।

রাজা বাবুকে আদর যত্নে বড় করে তুলেন শফিকুলের স্ত্রী সাহিদা বেগম। তিনি বলেন, গরুর ফিট খাবার খাওয়ানোর সাধ্য আমার নেই। তাই নাগরপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ডা. মতিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি গরুর ওজন এবং প্রয়োজনের ভিত্তিতে প্রাকৃতিক (ব্যালেন্সড) সুষম খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেন।

খামারি শফিকুল বলেন, বাজারে ক্রেতা ও গরুর সরবরাহের উপর দাম নির্ভরশীল। তবে আমি ৫ লাখ টাকা চাচ্ছি। পরিশ্রমের সঠিক মূল্য পেলে আগামীতেও এমন গরু নাগরপুর বাসীকে উপহার দেব। রাজা বাবুর খাদ্য তালিকার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সবুজ ঘাস, গাছের পাতা, খর, ভুসি, ভুট্টা ভাঙা, সরিষার খৈল, নালি, চালের কুড়া, লবণ, পরিমাণ মতো পানি। নিয়মিত গোসল করানো, পরিষ্কার ঘরে রাখা, বাবুর ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত হাঁটানো, রুটিন অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেয়া ও কৃমির ওষুধ খাওয়ানো এসব বিষয়ে ডা. মতিউর রহমানের পরামর্শেই ছোট বাছুরটি আজ রাজা বাবু হয়ে উঠেছে। রাজা বাবুকে মোটা-তাজা করার ব্যাপারে কোনো ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়নি বলেও তিনি জানান।

মামুদনগর ইউনিয়ন প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারন কর্মকর্তা সিল মো. মতিউর রহমান বলেন, গরুটি সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন-পালন করা হয়েছে। এটি লানা জাতের ষাঁড় গরু। এ জাতের গরু আমাদের দেশে এখন খামারিরা পালন করছেন। আমার জানা মতে, গরুটি নাগরপুর উপজেলায় সর্বোচ্চ বড় গরু।

Please follow and like us:

     এই বিভাগের আরো খবর

আমাদের পেজ লাইক করুন

error: Content is protected !!