সাতকানিয়ায় জ্বালাও পোড়াও রাজনীতিতে‌ সাহসী ভূমিকায় সাতকানিয়া থানার নবগত ওসি প্রিটন সরকার

 

সাতকানিয়া উপজেলার চলমান উত্তপ্ত জ্বালাও পোড়াও নিয়ন্ত্রণ,মাদক নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ অস্ত্রধারীদে গ্রেপ্তার করে প্রশংসায় বাসছেন ওসি, প্রিটন সরকার।

এই সময় ওসি, প্রিটন সরকার বলেন, সাংবাদিকরা রাজনীতিক প্রতিপক্ষ কেন? সর্বপ্রথম ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময়, গুজরাটি ‘হরতাল’শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী!‌ এটি ছিল সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের’সর্বাত্মক অহিংস আন্দোলন! সেই অহিংস‌ আন্দোলনের চেহারা আজ প্রকট সহিংসতায় রূপ নিয়েছে।

 

আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি ৫২ বছর! সংবিধানে শর্তসাপেক্ষে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দেওয়া হলেও’সাংবাদিকদের নিরাপত্তা’সম্পর্কে তেমন কোন বিষয় বলা নাই! যুদ্ধ পরিবেশ বা অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশে একজন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কোন ধরনের ঝুঁকি নেন,তা কেউ কল্পনা করতে পারেন না। তবু এক ধরনের মোহ থেকেই নির্যাতন, হয়রানি আর আইনের নানা খড়গ মাথায় নিয়ে বাংলাদেশের পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন একজন সাংবাদিক। বিপরীতে সাংবাদিকদের সুরক্ষা দেওয়ার কোন আইন নাই।

 

সংবাদ প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে সচেতন করে তোলা হয়নি। সরকারি ভাবে সাংবাদিকদের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে কোন ঝুঁকি ভাতার প্রচলন নাই। যদিও বিশ্বের অনেক দেশে সরকারিভাবেই সাংবাদিকদের বিষয়ে পরিষ্কার আইন রয়েছে। একই সঙ্গে রয়েছে ঝুঁকি ভাতা। অত্যন্ত সম্মানজনক হিসেবে বিবেচনা করা হয় এই পেশাকে। কিন্তু আমাদের দেশে এসবের কোন বলাই নাই।

প্রসঙ্গক্রমে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা লোহাগাড়া উপজেলা কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক সেলিম উদ্দিন খান বলেন – হরতালে এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন শত শত সাংবাদিক। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে, আমাদের জানা নেই।

 

যখন একজন সন্তান’সাংবাদিক হিসেবে পরিবারকে টেনে নিয়ে যান, তখন রাজনৈতিক দলগুলোর ঠিক হরতালে যখন সেই সাংবাদিক গুরুতর আহত বা নিহত হন-তখন তার পরিবারের মা- বাবা, স্ত্রী-সন্তানের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি কে ভাবেন? কেউ কি জানেন, ভয়াবহ অভাব অনটন বা অসহায়ত্বের মধ্যে সে পরিবারের দিন-রাত কাটে? তারা শুধু চোখের জল নিয়ে দীর্য নিশ্বাস ফেলে অভিশাপ দেন তাদের-যারা কেবলমাত্র নিজেদের চিন্তাকে বাস্তবায়নে জন্য রক্তের হোলিখেলায় মেতে উঠেন।

 

সাংবাদিকের এমন কারণ পরিনীতির সমাধান কার হাতে-জানা নেই। তবে এটা ঠিক, সাংবাদিকের নিরাপত্তা বিষয়ে সাংবাদিক সমাজকেই জোটবদ্ধ হতে হবে। না হলে, অপেক্ষা করতে হবে করুন পরিমিতির জন্য। মনে রাখতে হবে, সাংবাদিককে’প্রতিপক্ষ’ বানিয়ে আজ পর্যন্ত কোনো পক্ষই চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে পারেনি পারবে না।

Please follow and like us:

     এই বিভাগের আরো খবর

আমাদের পেজ লাইক করুন

error: Content is protected !!