বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার মুরুং বাজার এলাকায় বেইলি ব্রিজ ভেঙে চালভর্তি ট্রাক খাদে পড়ে আব্দুল গফুর (৫০) নামে একজন নিহত হয়েছে। ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে রুমার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

আজ বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে রোয়াংছড়ি উপজেলার মুরুং বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ট্রাক ড্রাইভার সাতকানিয়ার পুরানগড় এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার দুপুরে বান্দরবান থেকে চালভর্তি একটি ট্রাক রুমায় যাওয়ার সময় রোয়াংছড়ি উপজেলার মুরুং বাজার এলাকায় পৌঁছালে বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাকটি ঝিরিতে পড়ে যায়। এ সময় ট্রাকচালক আব্দুল গফুর ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় বান্দরবানের সঙ্গে রুমার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে দু’পাড়ের অসংখ্য যাত্রী।

রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, রুমায় যাওয়ার সময় রোয়াংছড়ি ইউনিয়নের মুরুং বাজার এলাকায় একটি ট্রাক বেইলি ব্রিজ ভেঙে নিচে পড়ে যায়। এ ঘটনায় ট্রাক ড্রাইভার মারা গেছে। নিহতকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

বান্দরবানে বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক খাদে, নিহত ১

বহুল আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল সোমবার (৩১ জানুয়ারি)। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হবে। দীর্ঘ শুনানি, সাক্ষীদের জবানবন্দি, জেরা ও আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে গত ১২ জানুয়ারি রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেছিলেন বিচারক। এদিকে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ তার ব্যক্তিগত বাহিনীর (১৫ আসামি) সবাইকে ফাঁসির আদেশ দেয়ার দাবি জানিয়ে টেকনাফ থেকে কয়েকশ মানুষ আসবে। স্বজনহারা ব্যক্তিরা জানান, টেকনাফে ওসি থাকাকালীন প্রদীপ কুমার দাশ ও তার বাহিনীর ক্যাডাররা ২০৪ জনকে মাদককারবারি আখ্যা দিয়ে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করেছে। তাদের আত্মীয়রা কয়েকটি গাড়ি রিজার্ভ করে মিছিল সহকারে আদালতে প্রদীপ দাশসহ সবার ফাঁসির দাবি জানাতে ভিড় করবে বলে জানা গেছে। জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন ও নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে জেলা পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবে। জেলা কারাগার থেকে একাধিক গাড়ির বহর কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে সিনহা হত্যা মামলার আসামিদের আদালতে হাজির করা হবে।

আলোচিত সিনহা হত্যার রায় কাল, ফাঁসি চান স্বজনরা

মোরগ লড়াইয়ে দেশজুড়ে বেশ নামডাক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের আসিল মোরগের। মোগল শাসনামল থেকে এই জাতের মোরগ লালন-পালন হচ্ছে সরাইলে। লড়াইয়ে পারদর্শী একেকটি আসিল মোরগ ৫ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। এর জিনোম সিকোয়েন্স নিয়ে কাজ করছে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট। মূল জাত হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি অর্জনের প্রক্রিয়াও চলছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

মোরগ লড়াইয়ের ইতিহাসটা কিন্তু বেশ পুরানো। প্রায় ৬ হাজার বছর আগে প্রাচীন পারস্যে এর উৎপত্তি। কালের পরিক্রমায় গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে জনপ্রিয় এই খেলা। বাংলাদেশেরও নানা প্রান্তে জনপ্রিয় লোকজ খেলা এই মোরগ লড়াই। আর তাতে বেশ নামডাক আসিল মোরগের। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বাণিজ্যিকভাবে লালন-পালন করা হয়আসিল মোরগ। সরাইল থেকে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশজুড়ে এই জাতের মোরগ সরবরাহ হয়।

একটি আসিল মোরগের উচ্চতা ২৮ থেকে ৩২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। বয়স, আকার ও লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এর দাম নির্ধারণ হয়। একেকটি মোরগ ৫ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।

জনশ্রুতি রয়েছে ষোড়শ শতাব্দিতে সরাইল পরগনার জমিদার দেওয়ান মনোয়ার আলী, পারস্য থেকে আসিল মোরগ আনেন। পরে তার সাথে দেশীয় বিভিন্ন জাতের সংমিশ্রণ হয়। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক মৃদুল জানান, আসিল মোরগের জিনোম সিকোয়েন্স করে, একে মূল জাত হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি অর্জনের প্রক্রিয়া চলছে।

দেড় বছর বয়স থেকে লড়াই শুরুর পর ৪ বছর বয়স পর্যন্ত লড়াইয়ের সক্ষমতা থাকে আসিল মোরগের।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লড়াকু মোরগ আসিলের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের উদ্যোগ

আমাদের পেজ লাইক করুন

error: Content is protected !!