পাবনায় পুলিশের উদ্যোগে ১১ হতদরিদ্র পরিবার পেল মাথা গোঁজার ঠাঁই

পাবনার ১১ থানার একটি করে হতদরিদ্র গৃহহীন পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিচ্ছে জেলা পুলিশ। মুজিব শতবর্ষে ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে ঘরগুলো তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (০৯ এপ্রিল) সকালে পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) মহিবুল ইসলাম খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পাবনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক থানায় একটি হতদরিদ্র পরিবারকে ন্যূনতম এক কাঠা জমি ক্রয় করে আনুমানিক ৪১৫ বর্গফুট আয়তনের দুই কক্ষ, রান্নাঘর ও টয়লেট বিশিষ্ট একটি গৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জমিসহ নির্মিত ঘরগুলো উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করবেন বলে জানা গেছে।

উপকারভোগীরা হলেন- পাবনার আমিনপুর থানার জাতসাকিনীর তমসের শেখের স্ত্রী ময়না খাতুন, বেড়ার চাকলা গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে আলমগীর হোসেন, সাঁথিয়া পৌর এলাকার প্রিথুলিয়া গ্রামের মৃত রহিম বক্সের ছেলে নুর আমিন মীর, ঈশ্বরদীর অরণখোলা গ্রামের রেজাউল শেখের ছেলে মামুন শেখ, আটঘরিয়ার থানা পাড়ার শ্রী বিশ্বনাথ দাসের মেয়ে শ্রীমতি সুজাতা দাস, চাটমোহরের হরিপুর ইউনিয়নের উত্তরপাড়ার গ্রামের মোস্তফা উদ্দিনের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন, আতাইকুলার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত রইচ শেখের স্ত্রী আসিয়া খাতুন, ভাঙ্গুড়ার পার-ভাঙ্গুড়ার পাটুলি গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের স্ত্রী খাদিজা খাতুন, পাবনা সদরের কিসমত প্রতাপপুর গ্রামের বাজিতপুর ঘাটের মাসুদ রানার স্ত্রী স্বপ্না বেগম, ফরিদপুরের চাঁদপুর গ্রামের মৃত মজনু সরদারের স্বামী পরিত্যাক্ত মেয়ে নাজমা খাতুন ও সুজানগরের চরসুজানগরের মৃত জামাল সরদারের ছেলে আব্দুস সাত্তার সরদার।

পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) মহিবুল ইসলাম খান বলেন, ‌‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’। প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ স্যারের পরামর্শ অনুযায়ী হতদরিদ্রদের জন্য সুষ্ঠুভাবে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি অনেক মানবিক কাজ করে থাকে। অতীতেও করেছে, যা হয়তো এখন আরও বেশি দৃশ্যমান।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জনগণের খুব কাছে যেতে চাই। যাদের ঘর দেওয়া হচ্ছে, তাদের অনেকেই বিধবা নারী। তারা ভিক্ষাবৃত্তি ও গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করে মানবেতর জীবন-যাপন করছিলেন। তাদেরই পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ।

Please follow and like us:

     এই বিভাগের আরো খবর

আমাদের পেজ লাইক করুন

error: Content is protected !!