কুড়িগ্রামে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়ে আলোড়ন সৃষ্ট করেছে কুড়িগ্রাম জেলা আনসার ও ভিডিপি’র হিসাবরক্ষক গোলাম মোস্তফা রাঙ্গার স্ত্রী রুজিনা খাতুন। তিন সন্তানের মধ্যে একটি মেয়ে ও দুইটি ছেলে। মা ও সন্তানেরা সুস্থ আছে।
বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টায় রংপুরের প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে জন্ম হয় তাদের।
গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা জানান, ২০১৩ সালে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নাধীন মীরেরবাড়ী গ্রামের বাঙ্গালপাড়ার ইয়াকুব আলী খন্দকারের মেয়ে রুজিনা খাতুনের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তার। স্ত্রীর হরমোনজনিত ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দেওয়ায় পাঁচ বছর পর্যন্ত প্রাইম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গাইনি এন্ড অবস বিশেষজ্ঞ সার্জন সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার সোনালী রানী মুস্তফীর পরামর্শ গ্রহণ করি। পরে আল্লাহর রহমতে পাঁচ বছর পর একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। ৪ বছর পর আবারও সন্তানের নেয়ার পরিকল্পনা করি।চিকিৎসার এক পর্যায়ে আল্লাহ রহমতে গত বছরের আগস্টে রুজিনা অন্তঃসত্তা হন। পরে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে জানা যায় রুজিনার গর্ভে তিনটি ভ্রুণ। এতে রুজিনা ভীত হয়ে যান। নিয়মিত কয়েকবার চেকআপ করে ২টি ছেলে সন্তানের কথা জানা গেলেও অন্যটির কথা সিজারের আগে জানা যায়নি। বুধবার দুপুরে সিজারের মাধ্যমে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম হয়।
চিকিৎসক সোনালী রানী মুস্তফী জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরে রুজিনার সিজার করেছি। হরমোনজনিত কারণে প্রথম সন্তান হওয়ার আগেও আমিই চিকিৎসা করেছি। ২য় বার গর্ভবতী হওয়ার আগে এবং পরেও তাকে আমিই দেখতাম। নিয়মিত পরীক্ষা নিরিক্ষা করিয়েছি। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সিজারে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দেন রুজিনা। যেহেতু গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা আনসার বাহিনীর হিসাবরক্ষক এবং রুজিনা খাতুন ভিডিপি সদস্যা, তাই উক্ত দম্পত্তির খোজ-খবর নিতে আনসার ও ভিডিপি রংপুর রেঞ্জের পরিচালক মোঃ আব্দুস সামাদ, পিভিএমএস প্রাইম মেডিকেল কলেজে সশরীরে উপস্থিত হন এবং প্রসূতি ও বাচ্চাদের খোজ খবর নেন এবং ডাক্তারদের সাথে সাক্ষাত করে রুগী ও বাচ্চার খোঁজ খরব নেন।