মোটরসাইকেল চুরির সময় জনতার হাতে আটক ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের এক পৌর কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই পৌর কাউন্সিলরের নাম আব্দুস রাজ্জাক (৪৩)।
তিনি রানীশংকৈল পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ভান্ডারা গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। শনিবার রাতে আবদুর রাজ্জাককে পীরগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আব্দুস রাজ্জাক আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর দলের প্রধান। তাঁর নামে বিভিন্ন থানায় মোটরসাইকেল চুরির ৪৫টি মামলা রয়েছে।
এসময় কুখ্যাত মোটর সাইকেল চোর পৌর কাউন্সিল’র আব্দুর রাজ্জাককে জনতার রোষানল থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে জনতার ইট পাটকেলে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় থানার উপ-পরিদর্শক সাধন চন্দ্র রায় বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
অজ্ঞাতনামা করা ৪০০ জনে নামে মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার হয়নি। তবে এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান (১৬ এপ্রিল) শনিবার রাতে পীরগঞ্জ উপজেলার বায়তুল আমান (বেলায়েত) মসজিদে তারাবীর নামাজ পড়ার সময় জনৈক একজন ব্যক্তির মোটরসাইকেল চুরি পালানোর সময় আব্দুর রাজ্জাককে আটক করেন মূসুল্লীসহ স্থানীয় জনতা। তাকে আটকের পরে তার ব্যবহৃত একটি পালসার ১৫০সিসি মোটরসাইকেল বিক্ষুব্ধ জনতা পুড়িয়ে দেন।
পরে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল চোর আব্দুর রাজ্জাককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পীরগঞ্জ থানা পরিদর্শক (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, শনিবার রাতে বায়তুল আমান জামে সমজিদ থেকে একটি মোটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে আটক হন মোটরসাইকেল চোর আব্দুর রাজ্জাক। উপস্থিত জনতা তাকে মারপিট করে মসজিদের ভিতরে আটক রাখে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তে
সেখানে শতশত মানুষের সমাগম ঘটে।
এক পর্যায়ে চোর রাজ্জাককে মেরে ফেলতে উদ্দত হয় তারা।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম সহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। লোকজন কোন কথা না শুনে রাজ্জাককে তাদের হাতে তুলে দিতে শ্লোগান দিতে থাকেন এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশ সহ চোর রাজ্জাক মসজিদের ভিতরে দীর্ঘক্ষন অবরুদ্ধ থাকে।
পরে গভীররাতে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ১২ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে রাজ্জাককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
জনতার ইটপাটকেলে আহত হয় ৪ পুলিশ সদস্য। রাজ্জাকের বিরুদ্ধে চুরি মামলা করে পরদিন জেল হাজতে পাঠানো হয়।
পুলিশের উপর হামলা ও সরকারী কাজে বাধা দানের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।