-
- রংপুর, সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ, সারাদেশ
- নীলফামারীর ডোমারে হারিয়ে যাচ্ছে মৌমাছির চাক
- আপডেটের সময় : আগস্ট, ৩১, ২০২২, ৮:৩৭ অপরাহ্ণ
- 155 বার ভিউ
বর্তমান সময়ে গ্রাম বনাঞ্চল থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে মৌমাছির চাক।আশি নব্বই দশকে গ্রাম বাংলার মেঠো পথে চলাচল করলে রাস্তার ধারের গাছে,পাকা ঘরের ছাঁদে,বড়গাছের ডালে হর হামেশাই চোখে পড়ত মৌমাছির চাক।প্রতিটি মৌচাকে একটি করে রানী মৌমাছি থাকে,এটি একটি সমাজিক প্রানী এরা গাছের ডালে,পাকা ঘড়ের ছাঁদে জমাট বদ্ধ ভাবে চাক বাধে। কিন্তুু সময়ের বিবর্তনে সেভাবে এখন দেখতে পাওয়া যায় না। মৌমাছি বিভিন্ন ফুল ফল থেকে রস সংগ্রহ করে মৌচাকে জমা করে।আর সেই তরল রস মৌচাকে জমাট বেঁধে হয়ে যায় মধু।অনেকের বাড়িতে সকাল বেলায় নাস্তার টেবিলে (খাবার) মুড়িতে মধু মেখে খেতে দিত মায়েরা।সেই মধুমাখা মুড়ি খাওয়ার সাধ এখনও অনেক মানুষের মুখে লেগে আছে। মধু বিক্রির আয়ে চালিয়েছে অনেকে সংসার আবার অনেকে আগের মত মৌমাছির চাক না পাওয়ায় সে পেশা ছেড়ে গ্রহন করেছে অন্য পেশা ।এসব এখন শুধুই সৃতি। এবং ফসল ফলাদির ফলন বৃদ্ধির জন্য পরাগায়নে কাজেও মৌমাছি রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা । আধুনিক যুগে যে হারে স্বার্থপর মানুষ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট ও বনাঞ্চল নিধন করে ইটভাটার জ্বালানিতে প্রকৃতিকে করেছে কোটঠাসা তেমনি নিয়ম না মেনেই তৈরি হচ্ছে অবকাঠামো কালভার্ট-বাড়িঘর। সে কারণে সামাজিক প্রানী মৌমাছিটির জীবন রক্ষা করাই বড় বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কারনে হারিয়ে যাচ্ছে মৌমাছির চাক।বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়তো ভুলেই যাবে মৌমাছি ও মধুর গুনাগুন সম্পর্কে।ডোমার উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়ন হংসরাজ গ্রামের প্রবীন
ব্যক্তি বাবু গলিবাবু চন্দ্র রায় (গকুল ৯০) বলেন আমার নিজ বাড়ির আমগাছ থেকে চাকের মধু পেড়ে খেয়ে ছিলাম পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে। সেই মধু খাওয়ার সাধ মুখে এখনও লেগে আছে।এখন সেই মধু পাওয়া যায় না।বিশেষজ্ঞরা বলেন ঔষধ তৈরির কাজেও মধু প্রয়োজন হয়।মধু মানুষের শক্তিবৃদ্ধি, সৃতিশক্তি বৃদ্ধি ও যৌনশক্তি নির্মুলে কাজ করে থাকে। মধু বিভিন্ন নামে পরিচিত, সংস্কৃত ও বাংলায় মধু,ফারসিতে অঙ্গবীন,আরবিতে আসল,উর্দূতে সহদ।প্রানীটিকে সামাজিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য আমাদের সম্মিলিত প্রচেস্টা প্রয়োজন।
এ বিষয় কথা হলে নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন মৌমাছি সামাজিক প্রানীটি কৃষকের চাষাবাদের পরম উপকারী বন্ধু।নানা মৌসুমে রবিশষ্য ও ফুল ফলজ চাষে পরাগায়ন ঘটাতে মৌমাছি ব্যপক ভুমিকা রাখে। তা ছারা সরিষা চাষাবাদের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে মধু চাষ করতে পারে সে বিষয়ে কৃষক কে নানা পরামর্শ দিয়ে আসছি।
Please follow and like us:
এই বিভাগের আরো খবর