নওগাঁয় প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলামের গাফিলতির কারনে এসএসসি পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত জহুরা জাবিন

 

নওগাঁ প্রধান শিক্ষকের গাফিলতিতে এস এসসি পরীক্ষা-থেকে-বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় আটটি বিষয়ে ফেল করে। তার লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমি অতিরিক্ত ক্লাসে আসার অনুমতি দিয়েছিলাম। তার কাছে থেকে কোন টাকা নিইনি। তারা এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

 

 

নওগাঁর ধামইরহাটে চলমান মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে জহুরা জাবিন নামের এক শিক্ষার্থী। উপজেলার ভাতকুণ্ডু খাতেমন নেসা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের গাফিলতির কারণে ওই ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

 

এঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বড় ভাই আবু সাঈদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর বুধবার দুপুরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।

 

অভিযোগে বলা হয়, জহুরা গত ২৭ এপ্রিল সাড়ে ৯টার দিকে বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র নেয়ার জন্য যায়। তখন প্রধান শিক্ষক জহুরাকে প্রবেশ পত্র না দিয়ে জানায় যে, তার প্রবেশপত্র বোর্ড থেকে আসেনি।

 

 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বড় ভাই আবু সাঈদ বলেন, এ ঘটনায় আমার পরিবারের সদস্যরা প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তিনি দেখা করেননি। প্রধান শিক্ষক আমার বোনের কাছ থেকে ফরম ফিলআপ বাবদ সর্বমোট ৮ হাজার ৭ শ টাকা নেন। আমার বোন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারায় বর্তমানে মানসিকভাবে অশান্তিতে ভুগছে।

 

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় আটটি বিষয়ে ফেল করে। তার লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমি অতিরিক্ত ক্লাসে আসার অনুমতি দিয়েছিলাম। তার কাছে থেকে কোন টাকা নিইনি। তারা এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

 

অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী শাহ মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিলে সেটির তদন্তভার আমার ওপর আসে।

 

 

সে প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে তদন্তে গেলে অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যায়।ওই শিক্ষার্থী চলতি বছরে যে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারছে না এ বিষয়ে কোনো করণীয় আছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আসলে কোনো কিছু ক্ষতি হয়ে গেলে সম্পূর্ণ ফেরত পাওয়া যায় না।

 

 

যার কারণে ওই শিক্ষার্থীর এই ক্ষতি হয়ে তার উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত । তাই খুব শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হবে। এরপরে ইউএনও স্যার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

Please follow and like us:

     এই বিভাগের আরো খবর

আমাদের পেজ লাইক করুন

error: Content is protected !!