বগুড়ায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদল-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বগুড়া সদর থানা পুলিশের ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ ও ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ছাত্রদলের আহত নেতাকর্মীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
রোবববার সকাল ৯ টার দিকে বিএনপির ডাকা হরতালের সমর্থনে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান শহরের নবাববাড়ী সড়কে দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে। পুলিশি মিছিলে বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীরা ও পুলিশ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলের ডাকা হরতালে বগুড়ায় জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে। হরতালের সমর্থনে এই প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত বা সমমনা দলগুলো কোন মিছিল করতে পারেনি। শহরের প্রধান সড়কগুলোতে ত্রি-হুইলার, প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলসহ সবরকম যানবাহন চলাচল করছে। তবে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে দূর পাল্লার যাত্রীবাহী কোন যানবাহনের দেখা মেলেনি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও সড়কগুলোতে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও র্যাবের একাধিক দল। সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান বাদে শহরের বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাঠ বন্ধ রয়েছে।
তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে বগুড়ার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে। সদর উপজেলার বারোপুর থেকে শিবগঞ্জের চন্ডিহারা পর্যন্ত বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে পিকেটিং করছে। তারা যানবাহনগুলোর চাকার হাওয়া ছেড়ে দিয়ে থামিয়ে দিচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোন যানবাহন ভাঙচুরের অভিযোগ আসেনি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, জেলাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ কঠোর অবস্থানে আছে। ছাত্রদল অতর্কিতভাবে পুলিশ ওপর হামলা করেছে। এসময় সদর থানা পুলিশের ওসি ডান হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান বলেন, নেতাকর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় হরতালের সমর্থনে অবস্থান নিয়েছেন। দলীয় কার্যালয় থেকে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করলে পুলিশ গুলি ছুঁড়েছে। এতে আমাদের পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তারা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সাধারণ মানুষ নিজ ইচ্ছায় হরতাল পালন করছে।