ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়ায় স্বামীর সঙ্গে শাক নিয়ে ঝগড়ায় স্ত্রী রত্না রানী (২৬) নামের গৃহবধূ বিষ পানে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় রত্নার ভাই পরিতোষ রায় জানান চিকিৎসার অবেলায় আমার বোনকে মেরে ফেলেছেন।
মঙ্গলবার (১৪ নবেম্বর ) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সদর থানার তদন্ত (ওসি) জিয়াউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত গৃহবধূর স্বামী অনিল সরকার (২৯) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়ার মাঝগাও গ্রামের ছতিষ সরকারের ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, দুই বছর আগে সদর উপজেলার লাউথুতি গ্রামের জগদীশ রায়ের মেয়ে রত্না রানীর সঙ্গে সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের মাঝগাও গ্রামের ছতিষ সরকারের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য সংসারে ১৬ মাসের এক ছেলে রয়েছে । সংসারজীবন চলাকালে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাক নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে একপর্যায়ে স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ মারধর করেন অনিল। এরপরে রাগে ও অভিমানে সবার অজান্তে রত্না বিষপান করেন। পরে স্থানীয়রা জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরে রত্নাকে রংপুর মেডিকেলে রের্ফাড করে পরে গত সোমবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
পুলিশ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঠাকুরগাঁও সদর থানার তদন্ত (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারের রিপোর্টের মাধ্যমে জানা যাবে মৃত্যুর কারণ।