কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পশ্চিম লুদিয়ারা গ্রামের বায়তুল মামুর জামে মসজিদের ঈমামতি করেন ঈমাম আবুল কালাম হাজারী উপরে কিশোর গ্যাং লিডার ফুয়াদ চৌধুরীর হামলার ঘটনায় ৬২ হাজার টাকায় রফাদফা করার অভিযোগ উঠেছে । তাও আবার রফাদফার টাকা বাকিতে দুঃখ জনক হলেও সত্য এই যে, কুমিল্লা জেলার ডিসি ও ইউএনউ”র নির্দেশকে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়েছেন একটি মহল সেই মহলটি আবার হামলাকারী ফুয়াদ গং এর অধিকাংশই বংশধর অনুসারী বলে জানা যায়।
সাম্প্রতিক ঈমাম এর উপরে একটি হামলার ভিডিও “দৈনিক সমাজ কণ্ঠ” পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ার পর আলোচিত সমালোচিত শুরু হয় বিষয়টি নিয়ে। উক্ত বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে ৩ সদস্যের একটি টিম সরজমিনে গিয়ে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ কিশোর গ্যাং এর লিডার ফুয়াদ এলাকাবাসীকে ধর্মীয় বিষয়ে নিজের মুরিদ বানাতে ঈমাম আবুল কালাম হাজারীকে টার্গেট করেন। ঈমামকে ফুয়াদ যে ভাবে বলবেন সে ভাবে যেন ঈমামমতি করেন।
যদিও ইসলাম ধর্মে চার মাজাবে বিভক্ত কিন্তু বাংলাদেশে হানাফি মাজাহাবের অনুসারী প্রায় ৮০% মানুষ। লুদিয়ারা গ্রাম এর অধিকাংশ হানাফি মাজাহাব এর অনুসারী তার ঐ গ্রামের মানুষ হানাফি মাজাব এর ঈমাম আবুল কালাম হাজারীকে নিয়োগ দেন। কিন্তু বেশি কিছু দিন যাবৎ ফুয়াদ নামাজ এর সময় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাসালা নিয়ে ঈমাম এর আথে ফিতনা তৈরী করেন। যেমন নামাজ শেষে মুনাজাত কেন করেন ঈমাম আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।
ফুয়াদ নিজের মনগড়া সৃষ্টি করা মাজাহাব কিংবা ধর্মকে বিস্তার লাভ করতে ঈমাম কথা না শুনাতেই ঈমাম এর উপরে অতর্কিত হামলা চালায় ফুয়াদ। এতে ঈমাম এর মাথায় ফাটিয়ে দেন ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা ফুলা যখম করেন। ফুয়াদ যে ঈমাম আবুল কালাম হাজারী উপরে ক্ষিপ্ত তা ঈমাম নিজেও জানতেন না।
গত ২৬/১১/২০২৩ইং তারিখে ঈমাম আবুল কালাম হাজারী ছুটিতে ছিলেন তার নিজ বাড়ি নাঙ্গলকোট থানার রায়কোট এলাকায় কিন্তু তার একটি দোয়া ও মিলাদ এর দাওয়াত ছিলেন তার চাকুরিরত এলাকা লুদিয়ারা গ্রামের বায়তুল মামুর জামে মসজিদের পাশে। সেই জন্যে ইমাম দাওয়াতে এসে দোয়া শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে ফুয়াদের সামনে পরেন। ফুয়াদ আগে থেকে ঈমামকে টার্গেট করছিলেন যা ঈমাম জানতেন না ঈমামকে একা নির্জন জায়গায় পেয়ে প্রথমে ঈমাম এর চোখের চশমাটা টান দিয়ে নিয়ে যায় পরে ঈমামের মাথায় আঘাত করলে ঈমামের মাথা ফেটে যায় এক পর্যায়ে ফুয়াদ নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে শ্বাসরুদ্ধকর করার চেষ্টা করলে ঈমাম ফুয়াদকে কামড় দিলে ফুয়াদ ছেড়ে দেয়। ঈমাম এর মাথায় আঘাতের পর থেকে ঈমাম মানুষিক ভাবে অনেকটাই বিপর্যয় হয়েছেন যা কিনা তার চিকিৎসা কয়েক লক্ষ টাকার খরচ লাগতে পারে।
উক্ত বিষয়ে সংবাদ পেয়ে আমাদের প্রতিনিধীরা ছুটে যায় হাসপাতালে ঈমাম এর বিষয় সংবাদ সংগ্রহ করতে। তখন ঈমামের বক্তব্য শুনে মানুষিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আছেন কিছুটা অনুমান করতে পেরে তার বক্তব্যর উপরে না থেকে ঘটনাটি পূর্ণাঙ্গ ও সঠিক তদন্ত করতে আমাদের ৩ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়। ঈমাম এর মানুষিক অবস্থা ঠিক নেই বলে, ফুয়াদ ছাড়াও আরও কয়েক জনের নাম উল্লেখ্য করেন ঈমাম কিন্তু একজন হামলা কারীর ঠিকানা নিয়ে ভূল দেন ঈমাম যার কারনে তদন্ত করতে আমাদের প্রতিবেদকদের একটু বেশি সময় লেগে যায়। কেননা হামলা হয়েছে চৌদ্দগ্রাম থানার লুদিয়ারা গ্রামে কিন্তু নাঙ্গলকোট থানার রায়কোট গ্রামের আসামী কি ভাবে হয়, উক্ত ঘটনার তদন্ত নিয়ে একটু ধোয়াশার মধ্যে পরে যায় আমাদের টিম।
এক পর্যায়ে ফুয়াদ চৌধুরী সহ সকল আসামীদের সাথে আমাদের প্রতিবেদকেরা কথা বলতে চাইলে পালিয়ে যায় সবাই। উক্ত ঘটনার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ঈমাম আবুল কালাম হাজারী কুমিল্লা ডিসি মহোদয় বরাবর। কুমিল্লার ডিসি ইউএনওকে দায়িত্ব্য দিলে উনি স্থানীয় এলাকার কিছু নেতা ও মসজিদ কমিটিকে দায়িত্ব প্রধান করেন ব্যস্ততার কারনে উনি উক্ত সালিশে উপস্থিত থাকতে পারেনি বলে জানা যায়।
উক্ত বিষয় একটি বিচার সালিসি বৈঠক চলছে সংবাদ পেয়ে আমাদের টিম এর দু”জন ছুটে যায় কিন্তু যাওয়ার আগেই সালিসি বৈঠক শেষ হয়ে যায়। সালিসি বৈঠক এর বিষয় জানতে ফুয়াদ চৌধুরী বাড়িতে গেলে ফুয়াদের পরিবারের তোপের মুখে পড়তে হয়ছেন “দৈনিক সমাজ কণ্ঠ” পত্রিকার প্রতিবেদকদের বাড়িতে প্রবেশ করতেই ফুয়াদ এর বোন সাইমা প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে বলেন এই ঈমামকে আমরা রাখব না তাকে প্রাণে মেরে ফেলব এই জন্যেইতো আমরা তাকে মসজিদে চাকুরিতে বহাল রেখেছি আগে ঝামেলাটা শেষ করি, মসজিদ থেকে ছাঁটাই করে দিলেতো আর ঝামেলাটা শেষ হত না তাই জরিমানা করছে আস্তে আস্তে দেব যাতে ঈমাম টাকা কাজে না লাগাতে পারে, পরে মসজিদে ঈমাম আসবেনা তখনি ঈমামকে বাঁচায় কে দেখব।
তখনি আমাদের প্রতিনিধী মোবাইল ফোন বাহির করলেই মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন ফুয়াদ এসে ফোন করে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আসেন তখন ফুয়াদের মা-বাবা”সহ মোট ৭ জন মিলে পথ আটকে রাখেন যেতে দেওয়া হবেনা, তখন ফুয়াদের মা কেহ একজনকে ফোন করে মুঠো ফোনটি ধরিয়ে দেন আমাদের প্রতিবেদককে কে পাঠাইছে কেন আসছস উক্ত ঘটনার কোন রকম সংবাদ প্রকাশ হলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ধমকি প্রধান করেন ও সংবাদ প্রকাশ না করার অঙ্গীকারবদ্ধ করে যেতে দেন ফুয়াদ ও তার পরিবার। ফুয়াদের বোন সাইমা চরম মাপের দানব সরূপ আচরণ! ফুয়াদ সহ তার পরিবার এখন গোটা এলাকা জুড়ে আতঙ্ক!
ইউএনউ মহোদয় এর সাথে কথা বলে জানা যায় যে, উক্ত বিষয়টি উনি ব্যস্ত থাকার কারনে স্থানীয় এলাকাবাসী নেতা ও মসজিদ কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয় কিন্তু পুরো এলাকা জুড়েই ফুয়াদ চৌধুরী বংশ, আবার ফুয়াদের অতংকে পুরো এলাকাবাসী! ফুয়াদ এর কিশোর গ্যাং দিয়ে পুরো এলাকা নিয়নত্রনে চলে বিচার আর সমাধান কি হবে উক্ত বিষয়ে আর বুঝার বাকি রইলনা সাংবাদিকদের সাথে আচরণে। তবে ঈমামের উপরে হামলার ঘটনাটি ৬২ হাজার টাকায় রফাদফার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে বলে স্থানীয় নেতারা জানান কিন্তু বাকিতে যখন অর্থের মাধ্যমে সমাধান টাকাই যখন বাকি সমাধান কি আর হলো? স্থানীয় নেতা ও মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার মানিক সাহেব জানান যে মসজিদ কমিটির ফান্ড থেকে ১২ হাজার টাকা ইমামকে চিকিৎসা বাবদ দিয়েছি আমরা।
তবে এই টাকা আর দেওয়া লাগবেনা তবে ঈমাম এর চিকিৎকিসা নিতে যতদিন সময় লাগে নিয়ে আসুক যদিও সে মানুষিক ভাবে ঠিক নেই আমরা আর নতুন ঈমাম নেব না উনি থাকবেন বলে দাবী করেন। তবে উক্ত বিষয়ে কি ভাবে সমাধান হয়েছে বলে জানতে চাইলে তিনি বলেন ৫০ হাজার টাকা কিছু দিন পরে দেবেন আপাদত এই ভাবেই সমাধান করা হয়েছে। সম্প্রতি একটি ফেইসবু আইডিতে দেখা যায় ঈমাম এর সাথে সন্ত্রাসী ফুয়াদের সমাধান করা হয়েছে তবে ১২ হাজার টাকা নগদ ও ৫০ হাজার টাকা বাকিতে কিন্তু ১২ হাজার টাকার কথা ঈমামকে জিজ্ঞাসা করলে ঈমাম অশিকার করেন বলেন যে আহতের দিনে মসজিদ কমিটি দিয়েছিলেন ১২ হাজার টাকা বিচারের দিন আমি টাকা পাইনি।
উক্ত বিচার কিংবা সমাধান নিয়ে সচেতন মহলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন! সাংবাদিকদের উপরে হামলার চেষ্টা ঘটনাটি ইউএনও মহোদয়কে জানালে তিনি থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন প্রয়োজনে তিনিও হেল্প করবেন উক্ত বিষয়ে ঘটনার দিন ৩০/১১/২০২৩ ইং তারিখে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে চৌদ্দগ্রাম থানায়। উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা বলেন ধর্মীয় একজন আলেমের উপরে অতর্কিত হামলার ঘটনা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনার পরেও সন্ত্রাসী ফুয়াদকে আইনের আওতাধীনে না এনে বরং তাকে পস্রয় দেওয়ার কারনে সাংবাদিক সমাজের সাথে এমন আচরণ করেছেন। উক্ত বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে আইনের আওতাধীনে না আনা হলে সাংবাদিক সংগঠন ও সাংবাদিক নেতারা উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ গড়ে তুলা হবে বলে জানিয়েদেন।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ( বিএমএসএফ ), পুরান ঢাকা সাংবাদিক ফোরাম, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি সহ আরও অঙ্গ সংগঠন সমূহ।
জানা যায় যে, কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পশ্চিম লুদিয়ারা গ্রামের বায়তুল মামুর জামে মসজিদের প্রায় দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় যাবৎ ঈমামতি করছেন ঈমাম আবুল কালাম হাজারী কখনও তার চালচলনে ত্রুটি দেখা যায়নি বলে, এলাকাবাসী জানান।
ফুয়াদ চৌধুরী নামক কিশোর গ্যাং এর লিডার কুমিল্লা আইন কলেজের ছাত্র লুদিয়ারা এলাকার ত্রাস যাকে তাকে যখন তখন হুমকি ধমকি ও হামলাও করে থাকেন ফুয়াদ ও তার পরিবারের লোকেরা ফুয়াদ আইন কলেজে পড়েন বলেই, যাকে তাকেই মামলার হুমকি ধমক দিয়ে কাবু করেন কিন্তু সে এখনো ছাত্র। এলাকায় ফুয়াদ ও তার পরিবার বংশীয় ক্ষমাতার দাপট খাটান ও ছেলে ফুয়াদ আইন কলেজে পড়েন সামনে উকিল হবে সেই ভয় দেখিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ফুয়াদ ও তার পরিবার! গ্রামের সহজ সরল মানুষদেরকে বোকা বানিয়ে কেননা মানুষতো আর জানেনা যে এলএলবি পড়া পরলেই উকালতির সনদ পাওয়া যায় না।