ইরানের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার হুমকি রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। হুমকির বিষয়ে গোয়েন্দারা ব্রিফ করেছেন বলে জানিয়েছে তার প্রচারণা শিবির।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করে তোলার জন্য রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে হত্যার সুনির্দিষ্ট হুমকি রয়েছে।’
তবে গোয়েন্দাদের এই দাবির বিষয়ে বিশদ বিবরণ দেয়া হয়নি। এছাড়া ট্রাম্পকে হত্যার হুমকি নতুন করে এসেছে, নাকি তা পুরানো- সে বিষয়টিও স্পষ্ট করা হয়নি।
এদিকে ইরান সরকার তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি। তবে তেহরান এর আগে আমেরিকার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের মার্কিন দাবি অস্বীকার করেছে।
অন্যদিকে ট্রাম্প সামাজিকমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে দাবি করেছেন, ‘ইরানের তরফ থেকে আমার জীবনের ওপর বড় ঝুঁকি রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এরইমধ্যে ইরান চেষ্টা করেছে; কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি।’
এ বিষয়ে সিক্রেট সার্ভিসকে আরও কার্যকর করতে তাদের প্রতি বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য কংগ্রেসের প্রতি ধন্যবাদ জানান ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রচারণার যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চেউং এক বিবৃতিতে বলেছেন, গোয়েন্দা কর্মকর্তারা গত কয়েক মাসে পরপর যে হামলা হয়েছে তা চিহ্নিত করেছেন।
এর আগে ১৩ জুলাই পেনসিলভানিয়ায় একটি সমাবেশে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। অল্পের জন্য তিনি বেঁচে গেলেও গুলিতে একজন নিহত হন। এই হামলার পেছনে কোন মোটিভ পাওয়া যায়নি এবং মামলাটি তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এর কয়েকদিন পর মার্কিন মিডিয়া জানিয়েছে, কর্মকর্তারা সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে একটি কথিত ইরানি চক্রান্তের খবর জানতে পেরেছেন। বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজ এক প্রতিবেদনে বলেছে, ইরানি কর্মকর্তারা সেই সময় এই অভিযোগকে ‘দূষিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
এর কয়েক সপ্তাহ পর ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে নিজ গলফ ক্লাবে খেলার সময় সীমানা প্রাচীরের বেড়া দিয়ে একে-৪৭ রাইফেলের নল ঢুকিয়ে ট্রাম্পকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেন একজন। গোলাগুলির পর গলফের মাঠটি দ্রুত নিরাপত্তার আওতায় নেয়া হয়। তবে এই গুলি কে চালিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।