ঢাকা, ১৬ আগস্ট
জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, জাতীয় পার্টি অবশ্যই নির্বাচন চায়, তবে কোনোভাবেই যেন-তেন নির্বাচন চায় না। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা জরুরি। বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়। আর নির্বাচন যদি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য না হয়, তাহলে গণতন্ত্র কখনোই ফিরে আসবে না।
শনিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে জাতীয় পার্টি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ হত্যার শিকার হচ্ছে, সাংবাদিকরাও রেহাই পাচ্ছে না। এ অবস্থায় অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অসম্ভব। আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। তবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আগে নিজেদের দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।”
তিনি জানান, গেল বছরের ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর দেশের রাজনীতিতে নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে জাতীয় পার্টিকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। দলের দশম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব এসেছে এবং এখন থেকে জাতীয় পার্টি যৌথ নেতৃত্বের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক উপায়ে পরিচালিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে কালো মেঘ সৃষ্টি হয়েছে। তবে সব দলের সঙ্গে আলোচনা হলে এই অস্থিরতা কেটে যাবে। তিনি আরও বলেন, “জাতীয় পার্টি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। আমরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি।”
এ সময় জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, নাজমা আকতার, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, সরদার শাহ জাহান, হারুন আর রশিদ, নজরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম মিলন, ইয়াহিয়া চৌধুরী মো. ইয়াকুব হোসেন, শেখ আলমগীর হোসেন, নীগার সুলতানা রানী, মো. বেলাল হোসেন, ফখরুল আহসান শাহজাদা, নাসির উদ্দিন সরকার, গোলাম মোস্তফা, হাফেজ মাহমুদুর রহমান, সেরনিয়াবাত সেকান্দার আলী, শারমিন পারভীন লিজা, মিজানুর রহমান দুলাল, তাসলিমা আকবর রুনা, শারমিন আকতার, আবুল কালাম আজাদ, এস এম হাসেমসহ সর্বস্তরের নেতারা।