দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি এখনো শতভাগ কৃষি ও কৃষি পণ্যের উপর নির্ভরশীল। বেশীর ভাগ কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করেন গ্রামীণ বাজারে। সেখান থেকে দুই তিন স্তরে মধ্যস্বত্বভোগীর হাত ঘুরে, সেই পণ্য চলে যায় রাজধানীর বাজারে। ফলে ঢাকার বাজারে উচ্চদামে বিক্রি হলেও, বেশীরভাগ সময়ই ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন কৃষক।
কৃষক নিজে কিংবা মধ্যস্বত্বভোগী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঢাকার বাজারে পণ্য বিক্রি করতে একমাত্র ভরসা সড়ক পথ। এতে পরিবহন খরচ বেশি হওয়াই, কৃষকরা পড়ে বিপাকে। কখনো কখনো দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে নষ্ট হয় পঁচনশীল কৃষি পণ্য।
কৃষিজাত পণ্যের পাশাপাশি হিমায়িত পণ্য পরিবহনে জন্য কৃষি ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। চীন থেকে কেনা হবে ১২৫টি বিশেষ কোচ। যেখানে থাকবে ফ্রিজিং সুবিধা।
আগামী বছরের শেষে কৃষি এক্সপ্রেস সার্ভিস চালুর প্রত্যাশা জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলছেন, এতে উৎপাদিত পণ্য কৃষক নিজেই বিক্রি করতে পারবেন রাজধানীর বাজারে। সুদৃঢ় হবে গ্রামীণ অর্থনীতি। এমন চাহিদার কথা মাথায় রেখে কাঁচা সবজী, মাছ, দুধ ও হিমায়িত পণ্য পরিবহনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এতে স্বল্প খরচে সহজেই কৃষক নিজেই তার উৎপাদিত পণ্য ঢাকার বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। কৃষক লাভবান হওয়ার পাশাপাশি এতে সুদৃঢ় হবে গ্রামীণ অর্থনীতি।