পাকিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবিরোধী অভিযানের ঘটনায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ সন্ত্রাসী। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে গত বুধবার দু’টি সেনা চৌকিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সামরিক অভিযান ও পাল্টা হামলায় এসব সন্ত্রাসী নিহত হন। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া বিভাগ থেকে এই তথ্য জানানো হয় । খবর আল-জাজিরা
বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘বেলুচিস্তানের পাঞ্জগুর ও নোশকিতে বিচ্ছিন্নতাবিরোধী অভিযানে মোট ২০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী আজকে বিচ্ছিন্নতাবিরোধী অভিযান সম্পন্ন করেছে।’
এর আগে গত বুধবার বেলুচিস্তানে দু’টি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় ২০ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ৭ জন সেনাসদস্য এবং ১৩ জন ছিলেন সন্ত্রাসী। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সেটিই ছিল পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ওপর সবচেয়ে বড় হামলা।
পাঞ্জগুর ও নোশকি জেলায় চালানো ওই হামলার দায় স্বীকার করে বেলুচিস্তান ন্যাশনালিস্ট আর্মি (বিএলএ)। বিচ্ছিন্নতাবাদী এই সংগঠনটি মাত্র কিছুদিন আগে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এই বিবৃতির পর শনিবার রাতে পৃথক বিবতি দিয়েছে বিএলএ। এতে সেনাবাহিনীর হামলায় ১৬ জন নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। তবে বিবৃতিতে তারা আরও দাবি করেছে যে, তাদের ‘সকল লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে’।
এর আগে, গত জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে গোয়াদার বন্দরের কাছে বিদ্রোহীদের হামলায় পাকিস্তানের ১০ সেনা নিহত হন। ভূ-রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর নির্মাণ করছে চীন। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) এই প্রকল্পে চীন ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করছে।