আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। ২০২১ সালে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ভিত্তিতে সেরা একাদশে ঢুকে পড়েছেন তিনি। আইসিসির একাদশে একমাত্র বাংলাদেশি মোস্তাফিজই।

ক্রিকেটের ছোট সংস্করণে গেল বছর ২০ ম্যাচে ২৮ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সিরিজে। নতুন বছরে এসে সেই পুরস্কারটাই যেন পেলেন তিনি। মোস্তাফিজ ছাড়া এশিয়ার চার ক্রিকেটার আছেন একাদশে।

মোস্তাফিজের প্রশংসা করে আইসিসির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘বৈচিত্র্যময় বোলিং ও গতির ভিন্নতায় ২০২১ সালে দাপট দেখিয়েছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার। শুরুর ওভারের পর ডেথ ওভারে কার্যকর বোলিংয়ে ২০ ম্যাচে পেয়েছেন ২৮ উইকেট। ব্যাটারদের বিপক্ষে দুর্ভেদ্য হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাঁর বোলিং গড় ১৭.৩৯ ও ইকোনোমি রেট ৭।’

বর্ষসেরা একাদশে সর্বোচ্চ তিনজন ক্রিকেটার পাকিস্তানের। অধিনায়ক বাবর আজমের পাশাপাশি দলে ঠাঁই হয়েছে ব্যাটার-কিপার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপ জেতানো দুই ক্রিকেটার জস হ্যাজলউড ও মিচেল মার্শ জায়গা পেয়েছেন একাদশে

আইসিসি বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দল: জস বাটলার, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), বাবর আজম (অধিনায়ক), এইডেন মার্করাম, মিচেল মার্শ, ডেভিড মিলার, তাবরাইজ শামসি, জস হ্যাজলউড, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোস্তাফিজুর রহমান।

আইসিসি বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে মোস্তাফিজ

সারাদেশে গত একদিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১২ জনের মৃত্যু এবং নতুন করে শনাক্ত হয়েছে আরো ৯ হাজার ৫০০ জন।

বুধবার সন্ধ্যার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২৪ ঘণ্টার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন মৃত্যু নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৭৬ জনে। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪২ হাজার ২৯৪ জনে।

এদিকে গত একদিনে ৩৭ হাজার ৫৭৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৩৭ হাজার ৮৩০ জনের নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ।

এছাড়া গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৭৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৮ জন।

লাফিয়ে বাড়ছে করোনা, একদিনে শনাক্ত প্রায় ১০ হাজার

করোনা মহামারি প্রতিরোধী ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। সোমবার (১০ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই বিধিনিষেধ জারি করে। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে এই বিধিনিষেধ কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনসাধারণকে অবশ্যই বাড়ি বাইরে গেলে মাস্ক পরিধান করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ ও আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই টিকা সনদ দেখাতে হবে।

আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ ১১ দফা নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

এদিকেগত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে আরও ২ হাজার ২৩১ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে করে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ৯৯০ জনে।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয় ২৬ হাজার ১৪৩ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২০৮ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫১ হাজার ১১৩ জন।

করোনা প্রতিরোধে ১৩ জানুয়ারি থেকে ১১ দফা বিধিনিষেধ

আমাদের পেজ লাইক করুন

error: Content is protected !!