নোট দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়, জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে, নিপুণ আক্তারকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন আপিল বোর্ড।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আপিল বোর্ডের সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আপিল বোর্ডের প্রধান সোহানুর রহমান সোহান ও অভিনেত্রী নিপুণ।
সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিপুণের নাম ঘোষণা করার পর নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, “সত্যের জয় হয়েছে। ২৮ জানুয়ারি সকাল থেকে আমি যে যুদ্ধ শুরু করেছিলাম আজ সেটার ফল পেলাম। নির্বাচন কমিশনারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছি অনিয়মগুলো। কিন্তু তারা আমার পাশে দাঁড়ায়নি। অবশেষে সত্য প্রতিষ্ঠিত হলো।”
বোর্ড চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান বলেন, “নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ২৮ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ ও একই দিনে ফলাফল জানিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরদিন ভোরে জানানো হয় ফলাফল। এতে পরিষ্কার হয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন পক্ষপাতিত্ব করেছেন। এর মধ্যে দুজন ভোটার লিখিতভাবে জানিয়েছেন নগদ অর্থের বিনিময়ে তাঁরা জায়েদ খান ও চুন্নুকে ভোট দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, ভিডিও ফুটেজেও আমরা সেটার সত্যতার প্রমাণ পেয়েছি। তফসিলের ১০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে। আমরা সেই সিদ্ধান্তই নিয়েছি। জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক এবং চুন্নুর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাদির খানকে কার্যকরী সদস্য হিসেবে জয়ী ঘোষণা করা হলো।”