সাতক্ষীরার কলারোয়ায় গাদন খেলায় নিয়ে ইউপি সদস্যসহ উভয় পক্ষের ১৬ আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৮ জনকে কলারোয়া হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল (১০ নভেম্বর) -বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার বড় রাজনগর গ্রামে। আতহরা হলেন-ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন (৪৫), ইউপি সদস্য মাসুম বিল্লাহ (৩৫), সাব্বির খান (১৮), নহিদ (২৫), সবুজ (২০), আসাদুল (৪৫), নেছারুল (২২), মাসুদ রানা (৩০), আল আমিন (২৩), সিরাজুল (৩০), সাইদুর (২৮)কে কলারোয়া হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। অন্যদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
কলারোয়ায় কৃষককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা। ৮ সন্ত্রাসীর নামে মামলা জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা কলারোয়ায় জমি জমাসংক্রান্তের জের ধরে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় ৮জনের নামে কলারোয়া থানায় হত্যা প্রচেষ্টার একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে-বুধবার (৯ নভেম্বর) রাত ৭টার দিকে উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামের ফাঁকা মাঠের মধ্যে।
আহত কৃষক আব্দুল জব্বার মুফতি (৫২) ওই গ্রামের আব্দুল আজিজ মুফতির ছেলে। মামলার বিবরণে জানা গেছে-উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামের মৃত আকবার আলী সরদারের ছেলে গফ্ফার সরদারের সাথে পূর্ব থেকে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই সূত্র ধরে সন্ত্রাসী গফ্ফার সরদার পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে পিন্টু, হযরত আলী, রুহুল আমিন, আব্বাস মোড়ল, আবু তাহের সরদার, ইয়াকুব আলী, মুরশীদ আলীকে ভাড়া করে নিয়ে ওই স্থানে ওৎ পেতে থাকে। এসময় কৃষক আব্দুল জব্বার মুফতি (৫২) রাত ৭টার দিকে কলারোয়া বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে ওই স্থানে পৌছানো মাত্র তার পথরোধ করে এলোপাতাড়ী ভাবে কুপিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
এসময় সন্ত্রাসীরা তার পকেটে থাকা ১হাজার ৭শ ৫০টাকা ছিনিয়ে নেয়। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে কৃষক আব্দুল জব্বার মুফতি ডাক চিৎকার দিয়ে স্থানীয় কৃষক কুদ্দুস, সুমন হোসেন, লাল্টু হোসেন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। ওই রাতে গুরুত্বর জখম অবস্থায় কৃষক আব্দুল জব্বার মুফতি কে উদ্ধার করে কলারোয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় গতকাল (১০ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার আহত কৃষক এর ভাই জুলফিকার আলী বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় ৮জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি মামলা নং-১৭(১১)২২ দায়ের করেন। এবিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাছির উদ্দীন মৃধা বলেন-আহত কৃষক এর ভাই এ সংক্রান্তে থানায় একটি মামলা করেছেন। বর্তমানে মামলাটি থানার এসআই রঞ্জন
কুমার তদন্ত করছেন