ঢাকাই চলচ্চিত্রের তরুণ প্রজন্মের মডেল-অভিনেত্রী তমা মির্জা। নৃত্যশিল্পী হিসেবেই মিডিয়ায় কাজ শুরু করেছিলেন এই সুন্দরী। পরে মডেলিংয়ের পাশাপাশি অভিনয়ে এসেও সফল হন তিনি। এবার নিজেক ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে ‘কমলা সুন্দরী’ শিরোনামের একটি আইটেম গানে পারফর্ম করলেন তরুনদের এই সেনসেশন।

গানটির কথা, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন কৌশিক হোসেন তাপস। কণ্ঠ দিয়েছেন রেশমি মির্জা। গানের তালে নিজেকে ভেঙে নতুনরূপে গ্ল্যামারগার্ল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন ঢালিউডের অভিনেত্রী তমা মির্জা। বাবা যাদবের নির্মাণে তার স্টাইলিং ও গানটির প্রযোজনা করেছেন ফারজানা মুন্নী।

সম্প্রতি টিজার প্রকাশের পর ৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ হয় পুরো গানটি। টিএম রেকর্ডসের পূর্ব প্রকাশিত দুটি গানে নেচেছিলেন সানি লিওন ও নুসরাত জাহান।

এবার তাদের নতুন সেনসেশন হয়ে ধরা দিলেন তমা মির্জা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এটা আমার লাইফের সেরা কাজ। টিএম রেকর্ডসের গানগুলো ইতোমধ্যেই দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এর প্রত্যেকটি গানই বাংলাদেশের জন্য সম্পদ। এ গানের আগে দর্শক আমাকে শান্ত লুকে দেখেছে, এবার গ্ল্যামারাস লুকে দেখবেন। নিজেকে ভেঙে নতুনভাবে পারফর্ম করলাম।

‘‘খুব গোছানো একটা কাজ এটি। টিএম কাপল যেখানে আছেন খুব ভালো কিছু হতে যাচ্ছে সে বিশ্বাস ছিল, আছে ও থাকবে। আমি খুব এক্সাইটেড। গানটি প্রকাশ হয়েছে টিএম রেকর্ডসের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।’’

আইটেম গানে তাক লাগালেন তমা মির্জা

সুরসম্রাজ্ঞী ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরের অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। মুম্বাইয়ের শিবাজি পার্কে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে সেখানেই এই কোকিলকণ্ঠীর দাহকাজ সম্পন্ন হয়। লতা মঙ্গেশকরের বড় ভাইয়ের ছেলে আদিত্য মঙ্গেশকর তার মুখাগ্নি করেন।

উপমহাদেশের সংগীতের এই প্রবীণ মহাতারকার জীবনের অবসান হলো ৯২ বছর বয়সে। রোববার সকাল ৮টা ১২ মিনিটে মধ্য মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

লতা মঙ্গেশকর জানুয়ারি মাসের শুরুতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তখন থেকেই ভর্তি ছিলেন মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের আইসিইউতে। একসময় কোভিড নেগেটিভ হলেও পরে নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন। সম্প্রতি প্রবাদপ্রতিম এই গায়িকার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ভেন্টিলেশন সাপোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আশার আলো দেখছিলেন চিকিৎসকেরাও। তবে শনিবার লতা মঙ্গেশকরের শারীরিক পরিস্থিতির আবারও অবনতি হয়। শেষ পর্যন্ত সব চেষ্টা ব্যর্থ করে পরলোকে চলে যান কিংবদন্তিতুল্য এ শিল্পী।

সাত দশক ধরে দর্শক ও সমালোচক হৃদয় তৃপ্ত করে চলা সংগীতের এই মহাতারকা ১৯২৯ সালে ভারতের ইন্দোরে জন্মেছিলেন। কিন্তু তাঁর সংগীত ভারত ছাপিয়ে তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে বিশ্বসংগীতের দরবারে।

লতা মঙ্গেশকর ২০০১ সালে ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ভারতরত্ন অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার লাভ করেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

টুইটারে তিনি বলেন, “আমি শোকে স্তব্ধ। দয়ালু ও যত্নশীল লতা দিদি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি জাতির জন্য যে শূন্যতা রেখে গেছেন তা পূরণ হবার নয়।”

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় লতা মঙ্গেশকরকে শেষ বিদায়

আমাদের পেজ লাইক করুন

error: Content is protected !!