করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল, কলেজসহ সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না বলেও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখার যুগ্মসচিব মো. সাবিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে আজ শুক্রবার এ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলো হলো :

১. ২১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত সব স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

২. বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

৩. সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবে, তাদের অব্যশই টিকা সনদ/২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টিফিকেট আনতে হবে।

৪. সরকারি/বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানাগুলোতে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দায়িত্ব বহন করবে।

৫. বাজার/শপিংমল, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সবধরনের জনসমাবেশে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

এসব বিষয় স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যবেক্ষণ করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

আবারো ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ স্কুল-কলেজ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ৫ নির্দেশনা

সারাদেশে গত একদিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১২ জনের মৃত্যু এবং নতুন করে শনাক্ত হয়েছে আরো ৯ হাজার ৫০০ জন।

বুধবার সন্ধ্যার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২৪ ঘণ্টার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন মৃত্যু নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৭৬ জনে। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪২ হাজার ২৯৪ জনে।

এদিকে গত একদিনে ৩৭ হাজার ৫৭৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৩৭ হাজার ৮৩০ জনের নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ।

এছাড়া গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৭৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৮ জন।

লাফিয়ে বাড়ছে করোনা, একদিনে শনাক্ত প্রায় ১০ হাজার

করোনা মহামারি প্রতিরোধী ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। সোমবার (১০ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই বিধিনিষেধ জারি করে। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে এই বিধিনিষেধ কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনসাধারণকে অবশ্যই বাড়ি বাইরে গেলে মাস্ক পরিধান করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ ও আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই টিকা সনদ দেখাতে হবে।

আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ ১১ দফা নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

এদিকেগত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে আরও ২ হাজার ২৩১ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে করে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ৯৯০ জনে।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয় ২৬ হাজার ১৪৩ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২০৮ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫১ হাজার ১১৩ জন।

করোনা প্রতিরোধে ১৩ জানুয়ারি থেকে ১১ দফা বিধিনিষেধ

কোভিড-১৯-এর টিকার বুস্টার ডোজের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ আজ রোববার শুরু হচ্ছে। মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) প্রতিষ্ঠানে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও সম্মুখসারির কর্মীদের মধ্যে এ টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় শুভ্র সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গতকাল শনিবার দুপুরে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমে ফাইজারের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এটির অনুমোদন দিয়েছে। যাঁরা প্রথম দিকে টিকা পেয়েছেন, তাঁরাই বুস্টার ডোজের আওতায় আসবেন। পর্যায়ক্রমে সারা দেশেই এই কর্মসূচি চালু হবে। ‘সরকারের হাতে বর্তমানে ফাইজারের ৬০ লাখ টিকা রয়েছে। আগামী মাসে আরও দুই কোটি টিকা আসবে। মোট চার কোটির অর্ডার ডব্লিউএইচও থেকে আমরা পেয়েছি। এর মধ্যে কিছু পেয়েছি। আরও তিন কোটি আসবে। তাই টিকার কোনো সংকট হবে না।’

কোভিড টিকার বুস্টার ডোজের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু আজ

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ৩৮ দেশে শনাক্ত হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত এই ধরনে আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি। শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এসব তথ্য জানিয়েছে। ব্যাপকভাবে জিনগত রূপ পরিবর্তনে সক্ষম এই ধরনের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। সবশেষ যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় স্থানীয়ভাবে ওমিক্রনে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। ওমিক্রনের প্রকোপে দক্ষিণ আফ্রিকায় মোট আক্রান্ত ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ওমিক্রন ধরনের সংক্রমণে এখনো কোনো মৃত্যুর কথা তারা জানতে পারেনি। তবে নতুন এই ধরন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় সব দেশকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, আগামী কয়েক মাসে ইউরোপে মোট কোভিড সংক্রমণের অর্ধেকই হতে পারে ওমিক্রনের কারণে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, ডেলটার মতো নতুন এ ধরনও বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের গতি কমবে।

৩৮ দেশে ছড়াল ওমিক্রন, মৃত্যু নেই: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

আমাদের পেজ লাইক করুন

error: Content is protected !!