শুরুটা ক্রিকেট দিয়ে হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটের বরপুত্র তার জীবনকে কেবল ক্রিকেটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেননি। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা দিয়ে ব্যবসায় হাতেখড়ি হয় সাকিব আল হাসানের। এরপর এ খাতে তিনি আর থেমে থাকেননি। স্বর্ণ আমদানি ও বিপণন, শেয়ারবাজার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রসাধনী, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, কাঁকড়া ও কুঁচের খামারসহ বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন তিনি। কেবল দেশে নয় দেশের বাইরেও বড় বড় বিনিয়োগ রয়েছে সাকিব আল হাসানের।

পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন তিনি। চলতি বছরে মে মাসে একটি ব্রোকারেজ হাউসের অনুমোদন নিয়েছেন সাকিব আল হাসান।

সম্প্রতি স্বর্ণালঙ্কার ব্যবসায়ও নাম লিখিয়েছেন সাকিব। দেশে বৈধভাবে স্বর্ণবার ও স্বর্ণালংকার আমদানি এবং বিক্রির জন্য ‘বুরাক কমোডিটিজ এক্সচেঞ্জ কোং’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নিয়েছেন তিনি। সর্বোপরি ক্রিকেটার পরিচয়ের পাশাপাশি পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন তারকা এ ক্রিকেটার।

করপোরেট জগতে পদচারণা বেশ আগে থেকে হলেও এবার ব্যাংকিং খাতে যুক্ত হচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি পিপলস ব্যাংকের পরিচালক পদে আবেদন করেছেন সাকিব আল হাসান এবং তার মা শিরিন আক্তার।

পিপলস ব্যাংকের প্রধান উদ্যোক্তা এমএ কাশেম একটি জাতীয় পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, পিপলস ব্যাংকের মালিকানায় সাকিব আল হাসান ও তার মা যুক্ত হচ্ছেন। এর মধ্যে আমরা তাদের ফাইল বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়েছি। সাকিবের মতো একজন তারকাকে উদ্যোক্তা হিসেবে পাওয়া আমাদের জন্য গৌরবের। এখনই আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না। পিপলস ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে আমরা চূড়ান্ত লাইসেন্স পাব।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিটি ব্যাংকের মূলধন ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করার নির্দেশনা দিয়েছে। কেউ যদি উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে জায়গা করে নিতে চান তাকে সর্বনিম্ন দুই শতাংশ শেয়ারের মালিক হতে হবে।

এক্ষেত্রে সাকিব আল হাসানকে পিপলস ব্যাংকের প্রতিটি পরিচালক পদের জন্য সর্বনিম্ন ১০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, ব্যাংকের মালিকানা পেতে সাকিব আল হাসান ২৫ কোটি টাকারও বেশি মূলধন জোগান দিচ্ছেন।

এবার ব্যাংকের মালিক হচ্ছেন সাকিব

পার্বত্য বান্দরবান এর পাহাড়ের কোল ঘেঁষে বয়ে চলা নদী সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী। পাহাড়ের পাদদেশে সবুজের মেলা ও বয়ে চলা পাহাড়ি ঝর্না। নৃতাত্ত্বিক ১১টি জাতিগোষ্ঠীর পাহাড়ের গায়ে ছোট ছোট মাচাং ঘরে বসবাস। জুম চাষ, দিন শেষে ঘরে ফেরা, সন্ধ্যায় পাখির কলকাকলি, বৈশাখের উৎসব মিলিয়ে রূপকথার কোনো কল্পকাহিনী মনে হলেও এর সবই রয়েছে বান্দরবানে। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশী পর্যটকদের কাছে বান্দরবান একটি অতি প্রিয় গন্তব্য হতে শুরু করেছে। সবুজের সমারোহে, পাহাড়ের নিস্তব্ধতায়, প্রিয়জনদের নিয়ে একান্ত সান্নিধ্যে কয়েকটা দিন স্মরণীয় করতে অনেকেই অতিথি হন বান্দরবানে। অনেকের মতে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নান্দনিক পর্যটন স্পটের নাম পার্বত্য বান্দরবান জেলা।

কিন্তু কোভিট-১৯ করোনা ভাইরাস পর্যটন ব্যবসায়ে ব্যাপক ধস নেমেছে। পাহাড়ে ছিলনা কোন কোলাহল। থেমে ছিল হৈ হুল্লোর আর আনন্দ উল্লাস। প্রতি বছর ঈদ, সরকারী ছুটি সহ প্রতিনিয়ত পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় থাকলেও গত দুই বছর পাহাড়ে ভিন্ন চিত্র,নেই কোন পর্যটকের আনাগোনা, এতে করে কোটি কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের।

করোনার প্রকোপ কমায় ইতিমধ্যে  পর্যটন স্পট সহ হোটেল মোটেল খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মাঝে আনন্দ ও স্বস্তি ফিরে এসেছে।

জেলার পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রা জানান, পর্যটন মৌসুমে জেলা শহর ও উপজেলার প্রায় ৬০টি আবাসিক হোটেল-মোটেলে দৈনিক পাঁচ হাজারের বেশি পর্যটক আসেন। পর্যটকদের সেবায় প্রায় ১ হাজার ২৫০ জন কর্মী, ৩৫০ জন ট্যুরিস্ট গাইড, পাঁচ শতাধিক গাড়ি চালক ও চালকের সহকারী এবং খাবারের দোকানের কর্মচারীদের কর্মসংস্থান হয়ে থাকে।

বান্দরবানে খুলে দেয়া হচ্ছে সব পর্যটন কেন্দ্র

সপ্তাহের ব‍্যবধানে বাজারে কমেছে সবজির দাম। তবে বেড়েছে আলুসহ বেশ কিছু পণ‍্যের দাম। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর বেশ কিছু বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, ফুল কপি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, মূলা বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, এছাড়াও শসা ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে আগের মতো বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে টমেটো, গাঁজর। এছাড়া কেজিতে ৫ টাকা কমেছে দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। তবে বর্তমানে সবজির দাম আরও একটু কম থাকতো, যদি ডিজেলের দাম না বাড়তো।

কমেছে সবজির দাম

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, সিলেট থেকে সরাসরি বিদেশে পণ্য রপ্তানির প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। তিনি আজ শুক্রবার সকালে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বিভিন্ন দেশে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি এর আগে এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন এবং কমপ্লেক্সের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী যথাসময়ে কার্গো কমপ্লেক্সের নির্মাণ সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন। এসময় ওসমানী বিমানবন্দরের পরিচালক মোহাম্মদ হাফিজ আহমেদ, সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সিলেটের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সিলেট থেকে সরাসরি পণ্য রপ্তানি নিশ্চিত করা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

চীনের সাংহাইয়ে ৩ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর কার্যত হুলস্থুল সৃষ্টি হয়েছে। ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে কিছু সংখ্যক স্কুলও। এছাড়া বিভিন্ন গ্রুপের নির্ধারিত ভ্রমণ পরিকল্পনাও বাতিল করা হয়েছে।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। মাত্র তিনজন করোনা রোগী শনাক্তের পর চীনা কর্তৃপক্ষের নেওয়া এই পদক্ষেপে এটি স্পষ্ট যে, জিরো-কোভিড নীতি নিশ্চিতে কঠোরভাবে কাজ করছে বেইজিং।
করোনাভাইরাস মহামারি সারাবিশ্বেই প্রকট আকার ধারণ করলেও শুরু থেকে তা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে চীন। মূলত কঠোর ভ্রমণ বিধিনিষেধ ও লকডাউনের কারণেই ভাইরাসে নতুন সংক্রমণ এবং প্রাণহানি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে দেশটি। কিন্তু অভ্যন্তরীণ ভাবে মাঝে মাঝেই চীনের কিছু এলাকায় সংখ্যায় অল্প হলেও সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। এরপরই সেসব এলাকায় সংক্রমণ নিয়ন্তণে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বেইজিং।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংহাইয়ের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনায় আক্রান্ত ৩ জনই একে অপরের বন্ধু এবং গত সপ্তাহে তারা পার্শ্ববর্তী সুঝৌ শহরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। এমনকি তিনজনই করোনার টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছিলেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এদিকে ফ্লাইট ট্র্যাকার সংস্থা ভেরিফ্লাইটের তথ্য অনুযায়ী, ৩ করোনা রোগী শনাক্তের পর সাংহাই শহরের দু’টি বড় বিমানবন্দর থেকে পূর্ব নির্ধারিত পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে ভ্রমণও আপাতত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সাংহাই সরকার।
এছাড়া সাংহাইয়ের ৬টি হাসপাতলের বহির্বিভাগেও সেবাদান বন্ধ করা হয়েছে।
চীন অবশ্য আগেই করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু ফের নতুন করে কয়েকজন আক্রান্ত হওয়ায় শুরুতেই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পথে হেঁটেছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।

মাত্র ৩ জনের করোনা শনাক্তে ৫ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল

শীতের সবজিতে ভোক্তাদের কিছুটা স্বস্তি মিললেও আগের মতই দুশ্চিন্তা রয়ে গেছে চাল, আটা,ডাল তেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যে। বেড়ে যাওয়া দামেই কিনতে হচ্ছে এসব পণ্য। অর্থাৎ নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি কোনো স্বস্তি নেই। শুক্রবার কয়েকটি বাজারে দেখা গেছে, মিনিকেটের কেজি ৫৮-৬২, নাজিরশাইল ৬৫-৭০ টাকা। স্বর্ণা ও বিআর-২৮ জাতীয় চালের কেজি ৪৬-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মসুর ডাল ১১০-১১৫ ও ভারতীয় ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৫০-১৫৫ ও পামঅয়েল ১৪০-১৪৫ টাকা। ২ কেজির প্যাকেট আটা ৮০-৮২ টাকা। এছাড়া মুরগি ও পেঁয়াজের দামও বাড়তি।

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামে স্বস্তি নেই

আমাদের পেজ লাইক করুন

error: Content is protected !!