ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ পশ্চিম তীরে বিতর্কিত ৩ হাজার ৪ শ’টি বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণকারী কয়েকটি দেশের প্রতিক্রিয়ায় অঞ্চলটি সংযুক্ত করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করেছেন—ওই এলাকায় নতুন বসতি নির্মাণ ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের আশা ‘চূর্ণবিচূর্ণ’ করে দেবে।
জেরুজালেমের পূর্বে অবস্থিত সংবেদনশীল এলাকা ই১-এ বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা ইসরাইলের দীর্ঘদিনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা হলেও আন্তর্জাতিক বিরোধিতার কারণে কয়েক দশক ধরে তা স্থগিত ছিল। প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই নির্মাণ পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি সুসংলগ্ন ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বপ্নকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে আন্তর্জাতিক মহল মনে করে। পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ বলে বিবেচিত হয়।
বেজালেল স্মোট্রিচ ই১ অঞ্চলের বসতি সম্প্রসারণ পরিকল্পনার অগ্রগতি বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে বলেন, “যারা আজ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে চান, তাদের আমরা বসতি স্থাপনের মাধ্যমে জবাব দেব।” তিনি আরও জানান, ইহুদি পরিবারগুলো বাড়ি, পাড়া ও রাস্তা তৈরি করে নিজেদের জীবন গড়ে তুলছে।
কট্টর-ডানপন্থী এই নেতা প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে জুডিয়া ও সামেরিয়ায় ইসরাইলি সার্বভৌমত্ব প্রয়োগ করতে হবে। তার ভাষায়, “এটা করা হলে দেশ ভাগ করার ধারণা চিরতরে ত্যাগ করতে হবে এবং ইউরোপীয় ভণ্ড নেতাদের স্বীকৃতির কোনো সুযোগ অবশিষ্ট থাকবে না।”
এদিকে ব্রিটেন ও ফ্রান্স সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে জানিয়েছে, তারা চলতি বছরের মধ্যেই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে, যা তাদের মতে দুই-রাষ্ট্র সমাধান ধরে রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।