ভেনিজুয়েলা সরকার বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) তাদের আকাশসীমায় মার্কিন যুদ্ধবিমানের ‘অবৈধ অনুপ্রবেশের’ কড়া নিন্দা জানিয়েছে। দেশটির অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে ‘উসকানিমূলক তৎপরতা’ চালাচ্ছে, যা ভেনিজুয়েলার জাতীয় সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ। খবর এএফপি।
ভেনিজুয়েলার পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো তাদের উপকূল থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে শনাক্ত করা হয়। তবে সেগুলো আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে কি না, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় সরাসরি কিছু জানায়নি।
এর আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদ্রিনো দাবি করেন, পাঁচটি মার্কিন যুদ্ধবিমান ভেনিজুয়েলার উপকূলের কাছে এসে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং রাজধানী কারাকাসের মাইকেতিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নজরদারি রাডারে ধরা পড়ে।
পরে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, এই ধরনের কর্মকাণ্ড ক্যারিবীয় সাগরে বেসামরিক বিমান চলাচলের জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করবে।
গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যারিবীয় অঞ্চলে তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক মোতায়েনের অংশ হিসেবে পুয়ের্তো রিকোতে ১০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাঠান। এছাড়া আটটি যুদ্ধজাহাজ ও একটি পারমাণবিক সাবমেরিনও মোতায়েন করা হয়।
ওয়াশিংটন দাবি করেছে, এ পদক্ষেপ মাদক পাচার ঠেকাতে ঘোষিত অভিযানের অংশ। তবে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প গোপনে তার সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছেন।
মার্কিন বাহিনী সম্প্রতি মাদক পাচারকারীদের সন্দেহভাজন চারটি নৌকা ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছে ওয়াশিংটন। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক জলসীমায় ১৪ জন নিহত হয়েছে। তবে মানবাধিকার সংস্থা, মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট ও কিছু রিপাবলিকান এই অভিযানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।